নামখানা, 27 মার্চ: দোরগোড়ায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections)। আর সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে সাধারণ মানুএলাকার মানুষজন। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত দুর্গানগর, বুধাখালি, ঈশ্বরীপুর এলাকার মানুষজন। বুলবুল, আমফান, ইয়াসের মত একাধিক ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই সকল এলাকার মানুষজনের বাড়িঘর (People live in fear of river erosion in Bengal) ।
প্রতিবার ভোটের আগে মেলে বহু প্রতিশ্রুতি । কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজও কোন কাজ হয়নি এই সকল এলাকায়; অভিযোগ মানুষের। দুর্গানগর, ঈশ্বরীপুর, বুধাখালি-সহ কাকদ্বীপ বিধানসভার একাধিক জায়গায় নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের বহু জমি। কোনওরকম বাস্তুভিটেটুকু আগলে বাঁচার লড়াই করছে ওই সকল এলাকার বহু পরিবার। এখন নদী বাঁধের কাজ করার জন্য উপকূল আবহাওয়া। কিন্তু সেদিকে প্রশাসনের নজর কোথায় ? প্রশ্ন তুলছে ঘরহারা মানুষগুলো ৷ আবারও সামনে রয়েছে দুর্যোগের মরশুম ৷ তাই এখন যদি নদী বাঁধ মেরামতের কাজ না-করা হয় তাহলে ফের দুর্যোগের কবলে পড়ে নিঃস্ব হতে হবে এলাকার একাধিক পরিবারকে, আশংকা তেমনই ৷
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবার ভোটের আগে ওই সকল বেহাল নদী বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেওয়া হয় প্রশাসনিক দফতর এবং শাসকদলের নেতাদের পক্ষ থেকে । কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোনও কাজই হয় না । দুর্গানগর, ঈশ্বরীপুর, বুধাখালি-সহ একাধিক নদী বাঁধের বর্তমান যা দশা তাতে সামনের বর্ষার মরশুমের কথা চিন্তা করে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন । এই সকল এলাকার অবস্থা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা ।
তৃণমূল কবে ভাববে সাধারণ মানুষের কথা? এই সকল নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠছে এমনই নানা প্রশ্ন। তবে দুর্গানগর, ঈশ্বরীপুর, বুধাখালি-সহ একাধিক নদী বাঁধ মেরামতের কাজ খুব শীঘ্রই করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা । কিন্তু বর্ষার আগে নদী বাঁধ না হলে এলাকাবাসীদের ভিটে মাটি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে । কিন্তু কবে হবে সেটা, সঠিকভাবে কেউ জানে না ।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধের দায় কার ? টাকা না-দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রকে দুষলেন সেচমন্ত্রী