পাথরপ্রতিমা, 9 মে: পাথরপ্রতিমা গার্লস স্কুল ৷ আজ থেকে প্রায় 40 বছর আগে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ৷ সাধারণত এলাকায় নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতেই দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় পাথরপ্রিতিমার মাধবনগরে এই স্কুল তৈরি হয়েছিল ৷ প্রথম দিকে 40 জন পডুয়া নিয়ে নিয়ে স্কুল শুরু হলেও, বর্তমানে সেখানে মাত্র 1 জন পড়ুয়া ৷ শিক্ষিকা 3 জন ৷ এভাবেই চলছে স্কুল ৷
এলাকার বহুপুরাতন স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ এলাকাবাসীও ৷ একসময়ে প্রায় শতাধিক ছাত্রী এই স্কুলে ভরতি হয়েছিল ৷ সব কিছু ঠিক মতো চললেও, হঠাৎ বেশ কিছু শিক্ষিকার অবসর ও কিছু শিক্ষিকা অন্য স্কুলে বদলি হওয়ায় স্কুলের পড়াশোনার মান কমতে থাকে । ফলে স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে । করোনা কালীন সময়ে আরও কমে ছাত্রীর সংখ্যা । বর্তমানে খাতায় কলমে এই স্কুলের ছাত্রীর সংখ্যা 6 জন । কিন্তু স্কুলে আসে মাত্র 1 জন ছাত্রী । আর তাকে নিয়ে নিত্য চলে স্কুল । মিডডে মিলের রান্নাও হয় প্রতিদিন । তবে কেনও কমছে ছাত্রীর সংখ্যা তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি শিক্ষিকারা ।
বর্তমানে স্কুলের চারিদিকে আগাছা জন্মেছে । ক্লাসরুমগুলি পড়ে রয়েছে ফাঁকা অবস্থায় । জায়গায় জায়গায় জমেছে ধুলো । সর্বত্রই পড়ে মলিনতা-জীর্ণতার চিহ্ন ৷ একটি মাত্র ছাত্রী নিয়ে বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে চল্লিশ বছরের এই পুরনো স্কুল। অথচ এলাকায় এই স্কুলটি একমাত্র গার্লস স্কুল।এই স্কুলটি বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। এলাকাবাসী সুশীল দিন্দা বলেন, " সরকারি অবহেলার কারণে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মহিলা বিদ্যালয় প্রায় বন্ধের মুখে । শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকায় স্কুলের উন্নত পরিকাঠামো নেই ৷ সরকারি অবহেলার বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই স্কুল । আমরা চাই স্কুলের পঠন-পাঠন ও পরিকাঠামো উন্নয়ন করুক রাজ্য সরকার । সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার আলো সম্প্রসারণ করার জন্য এগিয়ে আসুক সরকার । যাতে স্কুলের উন্নত পরিকাঠামোর মধ্যে দিয়ে স্কুলটি আবার গৌরবের সঙ্গে চলুক ।"
আরও পড়ুন: গ্রুপ-সি চাকরি খুইয়ে নিখোঁজ কাউন্সিলর, দুর্নীতিগ্রস্ত বলে পোস্টার ডায়মন্ড হারবারে
তাঁর বক্তব্যের রেশ টেনেই স্কুলের মিড ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক কর্মী নমিতা জানা জানান, এই স্কুলে আগে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের রান্না হত ৷ কিন্তু দিনের পর দিন ছাত্র সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে । বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা বাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিনই মিড ডে মিল রান্না করা হয় ছাত্রীদের জন্য । কিন্তু বর্তমানে ছাত্রী সংখ্যাটা 6 থেকে কমে দাঁড়িয়েছে 1 জনে । স্কুলে যাতে পড়ুয়া আসে তার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানান। স্কুলে পরিকাঠামো ও স্কুলটিকে নতুনভাবে সংস্কার করে আবারো স্কুলের পুরানো পঠন-পাঠনের যে পরিবেশ সেই পরিবেশ আবার ফিরিয়ে আনুক রাজ্য সরকার এমনটাই আর্জি তাদের ৷