ফলতা, 21 এপ্রিল : ফলতায় যাত্রী সেজে টোটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা ৷ বাধা দেওয়ায় টোটো চালকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসালো দুস্কৃতীরা। ঘটনার জেরে গলার নলি কেটে যায় টোটো চালকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতলে ভর্তি করা হয় তাঁকে । ঘটনাটি ঘটে ফলতার হেলেগাছিয়া সাধনচন্দ্র কলেজের কাছে। জখম টোটো চালকের নাম সুনীল দাস ৷ কুলতলির মৈপিঠ উপকূল থানার গুড়গুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে কল্যাণপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফলতা থানা এলাকার বাসিন্দা রাজা নামে এক যুবক সুনীলের টোটো ভাড়া করে। সুনীলকে বলা হয় ফলতায় কফি বানানোর মেশিন আনতে যেতে হবে। সেই মতো রাজাকে সঙ্গে নিয়ে ফলতায় রওনা দেন তিনি। দুপুরে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়াও সারেন। টোটো চালককে অনেক রাস্তা ঘোরানোর পর স্থানীয় হেলেগাছিয়া এলাকার একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে আসে রাজা। সেখানেই দাঁড়িয়েছিল রাজার কয়েকজন বন্ধু। টোটো থেকে নামতেই সুনীলকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে টোটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে রাজা সহ সঙ্গে থাকা অন্য দুস্কৃতীরা। কিন্তু সুনীল টোটো ছিনতাইয়ে বাধা দিতেই দুস্কৃতীরা তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয়। গলার নলি কেটে যায় সুনীলের। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে থাকেন তিনি।
সেই সময় কিছুটা দূরে টহল দিচ্ছিলেন পুলিশ কর্মী ও সিলিক ভলান্টিয়াররা। টোটো চালকের চিৎকার শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে এলে টোটো ফেলে রেখে চম্পট দেয় দুস্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় সুনীলকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর। সুনীলের বাড়িতে ফোন করে ঘটনার খবর দেয় ফলতা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে হাসপাতালে এসেছেন আক্রান্তের পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি ৷
আরও পড়ুন : কাল ভোট, আজ বোমাবাজি অর্জুনের বাড়ির কাছে