ভাঙড়, 3 ফেব্রুয়ারি: "পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ সেই কারণেই আমাকে আটকে রাখা হচ্ছে ৷" শুক্রবার ফের একবার আদালতে ঢোকার মুখে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা ধৃত আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী (Nawsad Siddique slams TMC) ৷ উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতার আদালতে যখন তাঁকে পেশ করা হয়, তখনও রাজ্যের সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই তরুণ রাজনীতিক ৷
শুক্রবার নওশাদ সিদ্দিকীকে দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ৷ পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানে সাংবাদিকরা নওশাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৷ গাড়ি থেকে নামার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে নওশাদ বলেন, "আজ সকালে আমাকে বলল, তৈরি থেক, বারুইপুর আদালতে যেতে হবে ৷ এখন দেখি কী হয় !"
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, আর্থিক লেনদেন ! নওশাদের ফোনে 'রহস্যের গন্ধ'
এরপর এক সাংবাদিক নওশাদকে প্রশ্ন করেন, "আপনার কী মনে হয় ? কেন এমন করা হচ্ছে ? এটা কি তবে কোনও চক্রান্ত ?" জবাবে বিধায়ক বলেন, "অবশ্যই এটা চক্রান্ত ৷ আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে ৷ সামনেই পঞ্চায়েত ভোট ৷ শাসকদল হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে ৷ এত দিন ওরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল ৷ এখন বুঝতে পারছে, ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে ৷ তাই আমাকে আটকে রাখা হচ্ছে !"
উল্লেখ্য, গত 21 জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিবাদ কর্মসূচির জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা ৷ তারপরই নওশাদকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা ছাড়াও ভাঙড়ে অশান্তি ছড়ানোরও অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ এরই মধ্য়ে আবার লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়, নওশাদের দু'টি ফোন ঘেঁটে তারা বেশ কিছু নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ! অন্যদিকে, নওশাদকে মুক্তির দাবিতে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে আইএসএফ ৷
প্রসঙ্গত, গত 21 জানুয়ারি নওশাদের সঙ্গেই গ্রেফতার হন আরও 18 জন আইএসএফ কর্মী ৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের সকলকে কলকাতার আদালতে পেশ করা হয় ৷ দুই দফায় প্রথমে 10 দিন এবং পরে 15 দিন জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ধৃতদের ৷ পরবর্তীতে নওশাদকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বারুইপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় লেদার কম্পলেক্স থানার পুলিশও ৷ সেই মামলতেই শুক্রবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় নওশাদ ও তাঁর দলীয় সহকর্মীদের ৷ আর তখনই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধায়ক ।