মৌসুনি দ্বীপ, 21 নভেম্বর : একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ বুলবুল, আমফান, ইয়াসের মতো দুর্যোগ বারবার আঘাত হেনেছে সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মৌসুনিতেও । স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ও চাষের জমির পাশপাশি নষ্ট হয়েছে এই দ্বীপের পর্যটন ব্যবসা ৷ বড় দুর্যোগ ছাড়াও প্রতি পূর্ণিমা ও অমাবস্যার কটালে প্লাবিত হয় উপকূলীয় এলাকাগুলি । ফলে বারবার ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা ।
এখানকার পর্যটন ব্যবসা গড়ে উঠেছে কতগুলি কটেজ ও রিসর্টকে কেন্দ্র করে ৷ এর উপরেই তাদের জীবিকা নির্ভর করে ৷ ছোট দোকান থেকে শুরু করে অটো চালকদের আয়ের উৎস এই পর্যটন ।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও করোনার জেরে টানা 15 মাস বন্ধ থাকার পর ফের স্বাভাবিক হতে চলেছে মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন । পুজো থেকেই অল্পস্বল্প করে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে ৷ তবে শীত পড়তে শুরু করায় এবার ভিড় বাড়বে বলে আশায় বুক বাঁধছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা ৷
আরও পড়ুন : Digha tourism : দিঘায় যাবেন ? থাকতে হবে টিকাকরণের শংসাপত্র কিংবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট
নতুন করে সাজছে মৌসুনি (Mousuni Island) ৷ কটেজগুলিতে পড়ছে নতুন রঙের পোচ ৷ চলছে সংস্কারের কাজ ৷ সকলের আশা, করোনাকালে ভ্রমণপিপাসু বাঙালি নির্জন সমুদ্র সৈকত হিসেবে মৌসুনিকেই বেছে নেবেন ৷ ভিড় জমাবেন চিনাই, মুড়িগঙ্গা, বটতলা নদী ও চারিদিক সমুদ্রে ঘেরা নির্জন এই দ্বীপে । দ্বীপের সল্টঘেরিতে 2017 সালে হাতেগোনা কয়েকটি কটেজ দিয়ে শুরু হয় এখানকার পর্যটন ব্যবসা । প্রথম দিকে পর্যটকের দেখা তেমন না মিললেও ধীরে ধীরে জায়গাটি পরিচিতি পায় । সল্টঘেরির ঝাউয়ের জঙ্গলের নির্জন এই পরিবেশে পাখির কলতান শুনে, সমুদ্রের ঢেউ দেখতে এখানে ছুটি কাটাতে পছন্দ করেন অনেকেই ।
আরও পড়ুন : Bhatra Beel : মালদাবাসীর নয়া সপ্তাহান্তের ছুটির ঠিকানা মিনি দিঘা