নরেন্দ্রপুর, 9 জুন : প্রথমে মনে করা হয়েছিল নিছক দুর্ঘটনা ৷ কিন্তু ময়না তদন্তের পর নিছক দুর্ঘটনাই বদলে গেল খুনের ঘটনায় ৷ তদন্তে নেমে খুনের কারণ শুনে তাজ্জব হওয়ার জোগাড় তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের ৷ জেরার মুখে ধৃত স্বীকার করে , তাঁর ছেলে তাঁকে বাবা না বলে শ্বশুরমশাইকে বাবা বলত ৷ থাকতও শ্বশুরবাড়িতে ৷ সেই রাগেই ছেলের শ্বশুরকে ছক কষে খুন করে ধৃত ৷
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগে ৷ ধূমধাম করে ছেলের বিয়ে দেন মনোহর দাস ৷ বেশ কিছুদিন স্ত্রী-ছেলে-বউমা নিয়ে চুটিয়ে সংসারও করেছেন ৷ কিন্তু হঠাৎই তাল কাটে সংসারে ৷ বউমা ছেলেকে নিয়ে তাঁর বাপের বাড়ি থাকতে শুরু করে ৷ তারপর থেকেই ছেলের শ্বশুরের উপর ক্ষোভ বাড়তে থাকে মনোহরের ৷ আর তার জেরেই 30 মে সন্ধ্যাবেলা কোনও জরুরি দরকার বলে কার্যত অপহরণ করেন মৃত নারায়ণ হালদারকে ( 68 ) ৷ রাতে বাড়ি না ফেরায় নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মৃতের মেয়ে-জামাই ৷ সেই মত তদন্তে নামে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী
31 মে রাত প্রায় 11 টা ৷ নরেন্দ্রপুর থানার উচ্ছেপোতা এলাকায় মৃতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা ৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের পর জানা যায় , দুর্ঘটনা নয় ৷ খুন করা হয়েছে নারায়ণ হালদারকে ৷ পরিবারের সদস্যদের জেরা করা শুরু করলে পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়েন মনোহর দাস ৷ স্বীকার করেন তাঁর কৃতকর্মের কথা ৷ পুলিশ গ্রেফতার করেন তাঁকে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর , নারায়ণ হালদারকে সুপারি কিলারকে দিয়ে খুন করিয়েছে মনোহর ৷ খুনের জন্য তাদের 50 হাজার টাকা সুপারিও দেওয়া হয় ৷ ঘটনায় অভিযিক্ত একজন সুপারি কিলার চিত্ত হালদারকে ( 36 ) গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ আরও একজন এখনও অধরা ৷ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ৷