নরেন্দ্রপুর, 2 অগস্ট: পরকীয়া সন্দেহে মনোমালিন্য ৷ তাই থেকেই ঝগড়া ৷ সেই ঝগড়া দক্ষযজ্ঞ বাঁধাল দম্পতির মধ্যে ৷ বয়ে গেল রক্তগঙ্গা ৷ কাটারি দিয়ে স্ত্রীর গলা কেটে তাঁকে হত্যা করল স্বামী ৷ এতেই অবশ্য ক্ষান্ত হয়নি ৷ স্ত্রীকে খুন (Man Killed Wife) করার পর সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ৷ তাকে ওই অবস্থায় দেখে ছুটে যান স্থানীয়রা ৷ তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান ৷
নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুন দিয়াড়ার ঘটনা ৷ স্থানীয়দের দাবি, খিটিরমিটির লেগেই থাকত অনিমা মণ্ডল ও তাঁর স্বামী প্রসুন্ন মণ্ডলের মধ্যে ৷ জানা গিয়েছে, অনিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ ছিল প্রসুন্নর ৷ আর তার থেকেই সমস্যার সূত্রপাত ৷ স্ত্রীর অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে - এই সন্দেহে তাঁকে প্রসুন্ন মাঝেমধ্যে মারধরও করত বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: ত্রিপুরেশ্বরীতে পুজো দিয়ে যাত্রা শুরু, বিক্ষোভের মুখে অভিষেক
এত অশান্তি সহ্য করতে না পেরে দিনকয়েক আগেই অনিমা বাপের বাড়ি চলে যান ৷ তবে আবার ফিরেও এসেছিলেন ৷ তিনি ফিরতেই আবারও শুরু হয় অশান্তি, যা চরমে ওঠে রবিবার ৷ স্বামীর এমন রূপ আগে কখনও দেখেননি অনিমা ৷ কাটারি, ছুরি নিয়ে তাঁর উপরে হামলে পড়ে প্রসুন্ন ৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় সে বসিয়ে দেয় এক কোপ ৷ সঙ্গে সঙ্গে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে ৷ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অনিমা ৷ তাঁর সারা শরীর তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: বলে-কয়ে নয়, আত্মহত্যা চুপচাপই করা হয় ; বাবুলকে খোঁচা জয়ের
আর প্রসুন্ন তখন দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য ৷ এরপর সেই অস্ত্র দিয়েই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে সে ৷ ততক্ষণে প্রতিবেশীরাও ঠাহর করতে পেরেছেন যে সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটে গিয়েছে ৷ তাঁরা অনিমাদের বাড়িতে ছুটে যান ৷ ওই দৃশ্য দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ ৷ কোনওক্রমে তাঁরা গিয়ে আটকান প্রসুন্নকে ৷ তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ৷ অনিমার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ প্রসুন্ন হঠাৎ কেন এতটা রেগে গেল এবং স্ত্রীকে খুন করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনিমা-প্রসুন্নর পরিবার ও প্রতিবেশীদের ৷