বিষ্ণুপুর, 5 এপ্রিল : সম্পর্কের টানাপোড়ানের জেরে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। মৃতের নাম রাজকুমার চক্রবর্তী (38)। বাড়ি বিষ্ণুপুরের আমতলায়।
রাজকুমারের দুই স্ত্রী। তিনজনের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। সম্প্রতি রাজকুমার ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। রাজকুমার আগেও গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। আবার কখনও গলায় দড়ি দেওয়ায় চেষ্টা করেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যেয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মৃতের দ্বিতীয় স্ত্রী দীপালি চক্রবর্তী বলেন, "আমার স্বামী পেশায় ভ্যানচালক। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমাকে মারধর করত। এইকারণে আমি আমতলা থেকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে খড়িবেড়িয়ায় মাসির বাড়িতে থাকতে শুরু করি 5 বছরের এক ছেলেকে নিয়ে। প্রায়ই আমাদের দুই স্ত্রীর সাথে মদ্যপ অবস্থায় বিবাদ করত রাজকুমার। প্রথম স্ত্রীর সাথে গতকাল বিবাদের পর খড়িবেড়িয়ায় আমার কাছে ওঠে। কিন্তু আমার সাথেও অশান্তি হয়। এরপরই রাজকুমারকে খড়িবেড়িয়ার একটি ওয়েল পাম্প স্টেশনের কাছে ভ্যানে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। আজ সকালে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।"
রাজকুমারের মা বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীকে ছেড়ে আমার ছেলে প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকতে শুরু করে। এর জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। চেষ্টা করেও ফিরিয়ে আনতে পারেনি তাঁকে। সেই কারণেই ছেলে আজ বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পর দুই স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। একে অপরকে তাঁদের স্বামীর মৃত্যুর জন্য দায়িও করে।
পুলিশ জানায়, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সত্যিই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই ঘটনা কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।