Bhangar Murder : ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, উত্তপ্ত পোলেরহাট

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ (Man Allegedly Killed his Wife in Bhangar) ৷ ভাঙড়ের কাশীপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য অভিযুক্ত আরশেদ আলি মোল্লা ঘটনার পর থেকে পলাতক ৷ তাঁর প্রেমিকাকে পুলিশ আটক করেছে ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনতা-পুলিশ খন্ডযুদ্ধ বাধে কাশীপুরে ৷

ভাঙড় (দক্ষিণ 24 পরগনা), 29 জানুয়ারি : ত্রিকোণ প্রেমের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে (Man Allegedly Killed his Wife in Bhangar) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকার পোলেরহাটে ৷ মৃত গৃহবধূর নাম মরিয়ম বিবি, বয়স 35 বছর ৷ প্রায় 15 বছর আগে শাকশহর গ্রামে বিয়ে করেছিলেন পোলেরহাটের বাসিন্দা আরশেদ আলি মোল্লা ৷ দুই কন্যাসন্তান এবং এক পুত্রসন্তান নিয়ে দিব্যি সংসার চলছিল ৷ কিন্তু আরশেদ আলি মোল্লা অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ৷ সেই ঘটনা মরিয়ম বিবি জেনে যান ৷ এনিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ৷ শনিবার সকালে মরিয়ম বিবি ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে তাঁর ছেলে-মেয়েরা ডাকতে যায় ৷ কিন্তু, কোনও সাড়া না মেলায় প্রতিবেশীদের ডেকে আনে তারা ৷ তখনই বিষয়টি জানাজানি হয় ৷

ঘটনার পর থেকেই পলাতক আরশেদ আলি মোল্লা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাশীপুর থানার পুলিশ ৷ এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আরশেদ আলির প্রেমিকাকে পুলিশ আটক করেছে ৷ মরিয়ম বিবিকে উদ্ধার করে পুলিশ জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ মৃত গৃহবধূর ছেলে অভিযোগ করেছে, তার বাবার অন্য একজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ৷ সেই নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে প্রায় অশান্তি হত ৷ ওই মহিলার সঙ্গে সংসার করবে বলেই তার বাবা মাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ অন্যদিকে, পলাতক আরশেদ আলি মোল্লার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ ৷

ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে ৷ মৃত মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের কার্যত খন্ডযুদ্ধ বেধে যায় ৷ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে যখন জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিল ৷ সেই সময় মরিয়ম বিবির পরিবারের সদস্যরা এসে পুলিশের গাড়ি আটকায় ৷ দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করে পরিবারের সদস্যরা ৷ কিন্তু, পুলিশ দেহ না দেওয়ায় ঝামেলা শুরু করেন তাঁরা ৷ প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা ৷ এই ঘটনায় মরিয়ম বিবির পরিবারের এক সদস্য আহতও হয়েছেন । পাশাপাশি কাশীপুর থানার এক পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন ৷ আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য ৷ এর পর কাশীপুর থানা থেকে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷