পাথর প্রতিমা, 19 জানুয়ারি: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আবাস দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠছে ৷ ইতিমধ্যেই আবাস যোজনায় অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় দল ৷ পরবর্তীতে মিড ডে মিলেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ৷ এই প্রেক্ষাপটে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ সামনে এল (Lakshmir Bhandar Controversy) ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার একটি ঘটনা প্রসঙ্গে এই অভিযোগ উঠছে ৷
ঘটনাটি ঠিক কী ?
দক্ষিণ 24 পরগনার পাথর প্রতিমার বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্র ৷ এত দিন তারই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রত্যেক মাসে ঢুকত লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা (Lakshmir Bhandar money credited to Male Student Bank Account ) ! এখানেই শেষ নয় ৷ অভিযোগ, সেই টাকা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের হাতে তুলে না-দেওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অ্য়াকাউন্ট ! পাথর প্রতিমা ব্লকের অচিন্ত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে, তবে কি লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্পেও অনিয়ম হয়েছে ? এই ঘটনায় অচিন্ত্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌরী দুয়ারিকে কাঠগড়ায় তুলছেন কিশোরের পরিবারের সদস্যরা ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরী দুয়ারি নিজেই বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ কেন্দ্রের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের এফবিসি সদস্য ৷ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালানোর সুযোগ নিয়েই এই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি !
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিনিময়ে ভোট ! আঙুল উঁচিয়ে মহিলাদের হুঁশিয়ারি তৃণমূল ব্লক সভাপতির
যে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের ব্যাংক অ্য়াকাউন্ট নিয়ে এত ঝামেলা, সেটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতেই খোলা হয়েছিল ৷ ওই কিশোর তফসিলি জাতিভুক্ত ৷ সেই কারণেই তার নামে ব্য়াংক অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছিল ৷ ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা এত দিন জানতেন, ওই অ্য়াকাউন্টে ছাত্রের জলপানির টাকা ঢুকছে ৷ ছাত্রের অ্য়াকাউন্টে কয়েক দফায় স্কুল থেকে পাঠানো 2 হাজার টাকা জমা পড়ে ৷ কিন্তু, পরিবারের সদস্যরা টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন অ্যাকাউন্টে মোট 10 হাজার টাকা রয়েছে ৷
ছাত্রের ঠাকুমা দুর্গা দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমার নাতির নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ৷ সেখানে মোট 10 হাজার টাকা জমা পড়েছিল ৷ নাতির স্কুল থেকে 2 হাজার টাকা জমা পড়েছিল ৷ টাকা তুলেতে গেলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় বাকি 8 (আট) হাজার টাকা গৌরী দাসকে দিতে হবে ! কিন্তু, তারপর থেকে ওই অ্য়াকাউন্ট আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না ৷ জমা টাকাও তোলা যাচ্ছে না ৷"
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত উপপ্রধান গৌরী দুয়ারি বলেন, "আমি এই নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে বসে কোনও মন্তব্য করব না ৷ এই বিষয়ে কথা বলতে হলে ব্যাংকে আসতে হবে ৷ সেখানে অন্যান্য গ্রাহক থাকবেন ৷ তাঁদের সামনেই কথা হবে ৷ আমি এখন আলাদা জায়গা রয়েছি ৷"