জয়নগর, 21 জানুয়ারি: গ্রাম বাংলায় সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে ঘুড়ি ওড়ানোর চর্চা রয়েছে । তবে এখন সেভাবে বিশ্বকর্মা পুজোতে ঘুড়ি আকাশে দেখা যায় না । কিন্তু মকর সংক্রান্তি শুরু হতে আকাশের দিকে তাকালে একের পর এক ঘুড়ি উড়তে দেখা গিয়েছে । কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ভো-কাট্টা আওয়াজ ৷ আবার কখনও কখনও ঘুড়ি কাটা যাওয়ার পর কাউকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে । সবকিছু মিলিয়ে উল্লাসের ছবি চোখে পড়ল জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর এলাকায় ৷ যেখানে সাতদিনব্যাপী চলছে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা (Kite Competition) । এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে 16 জানুয়ারি থেকে শেষ হবে রবিবার ৷
আগে বাংলার গ্রামে গ্রামে মকর সংক্রান্তি আসতেই ধরা পড়ত এক অন্য ছবি । ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য সুতোতে মাঞ্জা দেওয়া হত । তবে এখন আর সেভাবে দেখা যায় না এই ছবি । তার কারণ বাজারে প্রচুর পরিমাণে চিনা মাঞ্জা সুতো এসে গিয়েছে ৷ তা আসার পর থেকে এই মাঞ্জা নিয়েই মাতামাতি করে সকলে বেশি ৷ ঘুড়ি ওড়ানোয় ব্যবহার করা হয় বাজার থেকে কেনা মাঞ্জার । এই মাঞ্জা সুতোর উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্বেও রমরমিয়ে কিন্তু চলছে তা দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানো ৷
জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর এলাকায় সাতদিনব্যাপী ঘুড়ির ওড়ানোর প্রতিযোগিতায় অনেককে অংশ নিতে দেখা গেল । দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা এসেছেন এখানে ঘুড়ির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ৷ আর এই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বসেছে ঘুড়ির মেলা ৷ কে কতকগুলি ঘুড়ি কাটতে পারে তার ওপর বিবেচনা করে দেওয়া হবে পুরস্কার । গত দু'বছর করোনার জন্য এই উৎসব থেকে বিরত ছিল সাধারণ মানুষ । তবে এবারে আর কোনও বাধা নেই ৷ তাই এলাকার ছোট থেকে বড় সবাই মেতেছে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসবে ৷
সাকিবুল হাসান বলেন, "ঘুড়ি ওড়াতো ভালো লাগছে ৷ আগের বছরও ঘুড়ি উড়িয়েছিলাম এখানে ৷ একটা দিয়ে তেরোটা ঘুড়ি কাটলাম আজকে ৷ জিতলে পুরস্কার পাবো ৷" আফতাব সর্দার বলেন, "আমরা আজকে ঘুড়ি ওড়াতে এসেছি ৷ এখানে মেলা উপলক্ষে প্রতিযাগিতা হয় ঘুড়ির ৷ আমরা চারজন এসেছি মীরপুর থেকে ঘুড়ি ওড়াতে ৷ যে ঘুড়ি কেটে প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হবে ৷ তাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছি ৷"