ETV Bharat / state

Gangasagar Kapil Muni Ashram: গঙ্গাসাগরে নদী বাঁধ পরিদর্শনে সেচমন্ত্রী, উদ্যোগ কপিল মুনি মন্দির রক্ষার - irrigation minister partha bhowmick

শনিবার গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি ৷ নদী ভাঙন রোধ করে ওই এলাকা বাঁচাতে মাস্টার প্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷

Gangasagar Kapil Muni Ashram
গঙ্গাসাগরে সেচমন্ত্রী
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 26, 2023, 7:18 PM IST

গঙ্গাসাগর, 26 অগস্ট: বৈঠকের পর শনিবার নিজেই সরেজমিনে গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে এলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের একাধিক ইঞ্জিনিয়র । কীভাবে নদী ভাঙন রোধ করে কপিলমনি মন্দির সংলগ্ন এলাকার রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয় । ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী ।

প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন গঙ্গাসাগরে । তবে এবারের বর্ষায় নতুন করে সাগর ভাঙন শুরু হয়েছে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে । মন্দির থেকে 1 কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই শুরু হয়েছে ভাঙন । যার জেরে, সাগরমেলার সময় যে অস্থায়ী পুলিশ ক‌্যাম্প হয়, তা ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন । এর মধ্যেই ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দফতর । নেওয়া হচ্ছে মাস্টারপ্ল‌্যান । গতবছর মেলার আগেই বোল্ডার ফেলে সেই ভাঙন রোধের তাৎক্ষণিক ব‌্যবস্থা করা হয় । তবে ভাঙন ঠেকাতে এবার পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে চাইছে দফতর । এ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । শনিবার তিনি নিজে এলাকা পরিদর্শনে যান, তার আগে স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷

সূত্রের খবর, এই এলাকার ভাঙন রোধে তৈরি করা হবে মাস্টারপ্ল্যান । গঙ্গাসাগর মেলার আগেই তা বাস্তবায়িত করা হবে । প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, যেখানে এখন সাগরমেলা হয়, সেখানে ভার কমানো হবে । এ বছরই একেবারে তা করে ফেলা না হলেও ধীরে ধীরে একে একে মেলার ভার কমিয়ে মন্দির সংলগ্ন অন‌্যদিকে সাগরমেলা বসানোর পরামর্শ সরকারকে দিতে চায় সেচ দফতর ।

জানা গিয়েছে, সাগরের জল প্রতি বছর 4 মিলিমিটার করে বাড়ছে । অন‌্যদিকে, সৈকতের বালির অংশ বসে যাচ্ছে 3 মিলিমিটার করে । ফলে প্রতিবছর প্রায় 7 মিলিমিটার করে জমি বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ তবে এই পরিস্থিতিতে এখনই আশঙ্কার কিছু দেখছে না সেচ দফতর ৷ কিন্তু, যে অংশ বসে যাচ্ছে তা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন, সেখানেই মেলা হয় ।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার কারণে যাননি মিজোরাম, না হলে ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃতের তালিকায় তিনিও থাকতেন !

শনিবার নদী বাঁধ পরিদর্শন করে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক তিনি বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে ও কপিলমনির মন্দিরকে রক্ষা করতে 29 অক্টোবর থেকেই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর এলাকার যে বেহাল নদী বাঁধ রয়েছে তা মেরামতির কাজ শুরু করবে সেচ দফতর ।" তিনি এর পাশাপাশি আরও জানান, কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃতি দিলেও গঙ্গাসাগর মেলাতে কেন্দ্র সরকার স্বীকৃতি দেয়নি । কুম্ভ মেলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র সরকার । গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করে না কেন্দ্রীয় সরকার । তাই কপিলমুনির আশ্রম রক্ষায় কেন্দ্রের এগিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন সেচমন্ত্রী ৷

গঙ্গাসাগর, 26 অগস্ট: বৈঠকের পর শনিবার নিজেই সরেজমিনে গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে এলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের একাধিক ইঞ্জিনিয়র । কীভাবে নদী ভাঙন রোধ করে কপিলমনি মন্দির সংলগ্ন এলাকার রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয় । ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী ।

প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন গঙ্গাসাগরে । তবে এবারের বর্ষায় নতুন করে সাগর ভাঙন শুরু হয়েছে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে । মন্দির থেকে 1 কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই শুরু হয়েছে ভাঙন । যার জেরে, সাগরমেলার সময় যে অস্থায়ী পুলিশ ক‌্যাম্প হয়, তা ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন । এর মধ্যেই ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দফতর । নেওয়া হচ্ছে মাস্টারপ্ল‌্যান । গতবছর মেলার আগেই বোল্ডার ফেলে সেই ভাঙন রোধের তাৎক্ষণিক ব‌্যবস্থা করা হয় । তবে ভাঙন ঠেকাতে এবার পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে চাইছে দফতর । এ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । শনিবার তিনি নিজে এলাকা পরিদর্শনে যান, তার আগে স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷

সূত্রের খবর, এই এলাকার ভাঙন রোধে তৈরি করা হবে মাস্টারপ্ল্যান । গঙ্গাসাগর মেলার আগেই তা বাস্তবায়িত করা হবে । প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, যেখানে এখন সাগরমেলা হয়, সেখানে ভার কমানো হবে । এ বছরই একেবারে তা করে ফেলা না হলেও ধীরে ধীরে একে একে মেলার ভার কমিয়ে মন্দির সংলগ্ন অন‌্যদিকে সাগরমেলা বসানোর পরামর্শ সরকারকে দিতে চায় সেচ দফতর ।

জানা গিয়েছে, সাগরের জল প্রতি বছর 4 মিলিমিটার করে বাড়ছে । অন‌্যদিকে, সৈকতের বালির অংশ বসে যাচ্ছে 3 মিলিমিটার করে । ফলে প্রতিবছর প্রায় 7 মিলিমিটার করে জমি বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ৷ তবে এই পরিস্থিতিতে এখনই আশঙ্কার কিছু দেখছে না সেচ দফতর ৷ কিন্তু, যে অংশ বসে যাচ্ছে তা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন, সেখানেই মেলা হয় ।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার কারণে যাননি মিজোরাম, না হলে ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃতের তালিকায় তিনিও থাকতেন !

শনিবার নদী বাঁধ পরিদর্শন করে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক তিনি বলেন, "গঙ্গাসাগর মেলার কথা মাথায় রেখে ও কপিলমনির মন্দিরকে রক্ষা করতে 29 অক্টোবর থেকেই গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর এলাকার যে বেহাল নদী বাঁধ রয়েছে তা মেরামতির কাজ শুরু করবে সেচ দফতর ।" তিনি এর পাশাপাশি আরও জানান, কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃতি দিলেও গঙ্গাসাগর মেলাতে কেন্দ্র সরকার স্বীকৃতি দেয়নি । কুম্ভ মেলার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্র সরকার । গঙ্গাসাগর মেলার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করে না কেন্দ্রীয় সরকার । তাই কপিলমুনির আশ্রম রক্ষায় কেন্দ্রের এগিয়ে আসা উচিত বলেও মনে করেন সেচমন্ত্রী ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.