সুন্দরবন, 26 জুন: সুন্দরবনের মানুষ দেখেছিল ঘূর্ণিঝড় যশে কিভাবে শান্ত নদী অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ৷ কিভাবে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয় । এর মধ্যে শনিবার ছিল পূর্ণিমার ভরা কোটাল । কোটালে কী হবে, আতঙ্ক দানা বেঁধেছিল সুন্দরবনের মানুষের মনে । সিঁদুরে মেঘ দেখেছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরাও । কোটালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের নদীবাঁধগুলি ভেঙে নতুন করে গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল । যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদীবাঁধ মেরামতিতে নেমে পড়েছিলেন প্রশাসনের আধিকারিকরা । যদিও স্বস্তি দিয়ে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি ৷
শেষ অবধি কোটালের ফলে জলস্ফীতি তেমন দেখা যায়নি এবার ৷ গ্রামের বাসিন্দারা জানান, যশের পরে বিভিন্ন নদীবাঁধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ হয় । তার পরেও ভরা কোটাল নিয়ে আশঙ্কা ছিল ৷ কিন্তু বড় ক্ষতি হয়নি ৷
আজ সকালে সুন্দরবনের বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বের হন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা । গতবার ঘূর্ণিঝড়ে নামখানার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নদীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয় নোনা জলে । ফলে নামখানার বিভিন্ন এলাকা নজরে রেখেছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সীমন্ত মালি ।
মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, "26 তারিখ ভরা কোটালের জলচ্ছাসের সম্ভাবনা ছিল ৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাতে করে বাঁধ মেরামতি দ্রুত হয় ৷ সেই কাজ হয়েছে ৷ গতকালও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি ৷ আজও ঘুরে দেখেছি ৷ এবার ততটা ক্ষতি হয়নি ৷ বাঁধ মেরামতির কারণে এবং ভাল আবহাওয়া থাকায় ৷"
আরও পড়ুন: শনিবার ভরা কোটাল, অশনি সংকেত দেখছে সুন্দরবন
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ সীমন্ত মালি বলেন, "যশের পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যের সেচ দফতর ও পূর্ত দফতর নদীবাঁধগুলি মেরামতি করে । এদিন সকাল থেকে আবহাওয়া ভাল থাকায় জলস্ফিতি তেমন দেখা যায়নি । ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সুন্দরবনবাসী ।"