বিষ্ণুপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 24 জুন: বিষ্ণুপুরে পুকুর থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ। এক তরুণী ও তাঁর জ্যেঠিমার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন জ্যেঠিমা, পূর্ণিমা নস্কর (54) ৷ শুক্রবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় পুকুর থেকে ৷ সন্ধ্যায় ওই পুকুর থেকেই কলেজ ছাত্রী চুমকি নস্করের (19) মৃতদেহও উদ্ধার হয়। দু'জনকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানার হাটখোলা নুর্সিরদার চকগ্রামে।
মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ আত্মীয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে মাথায় আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে দু'জনের। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে ৷ অভিযোগ, পাশের পাড়ার সৌরভ মণ্ডলের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল চুমকির ৷ কিন্তু বিয়ের কথা বলতেই বিয়েতে বেঁকে বসে সৌরভ। পরে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। অন্য ছেলের সঙ্গে চুমকির নতুন সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এই সন্দেহে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়িতে এসে ডাকে সৌরভ। সৌরভ প্রায়শই ফোন করে চুমকিকে বিরক্ত করত বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করায় সম্পর্ক ভেঙে দেবেন প্রেমিক, সেই আশঙ্কায় আত্মঘাতী ছাত্রী!
আর অন্য কারও সঙ্গে চুমকি সম্পর্কে জড়িয়েছে জানতে পেরে সৌরভ বদলা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার চুমকি বাড়ির বাইরে আসতেই তাঁকে খুন করে ওই সময় বাড়ির বাইরে জেঠিমা দেখে ফেলে সৌরভকে ৷ সেখানে জেঠিমাকে খুন করে রাস্তার পাশের পুকুরে দু'টি মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায় সৌরভ।
ঘটনার পর থেকে পলাতক প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা। পূর্ণিমা ও চুমকির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যদের দিকেও সন্দেহের তির রয়েছে পুলিশের। পারিবারিক কোনও বিবাদ কি এর পিছনে থাকতে পারে, তার তদন্তে তদন্তকারীরা। পরিবারের তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।