গঙ্গাসাগর, 2 জানুয়ারি: চলতি মাসেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ 8 জানুয়ারি থেকে 17 জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা ৷ তবে সব থেকে বেশি ভিড় হয় মকর সংক্রান্তির দিন (14 ও 15 জানুয়ারি) ৷ এই মেলায় পূণ্যার্থীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যাবস্থার উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ সেসব খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷
গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রস্তুত দমকল বিভাগ । মেলা চত্বরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য় তৎপর রাজ্যের দমকল বিভাগ । বেশ কিছু নির্দেশও দেওয়া হয়েছে দমকলের পক্ষ থেকে ৷ মেলার সময় প্রকাশ্যে খোলা মাঠে কোনও প্রকার রান্না করা যাবে না। এমনকী হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি ঘরেও রান্না করা যাবে না । প্রশাসনের এই নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে কি না তার উপর নজরদারি চলবে ৷ পাশাপাশি, মেলায় কোনও আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তৈরি দমকল বিভাগ।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে, অস্থায়ী ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী সুজিত বসু । পাশাপাশি কপিলমুনির আশ্রম চত্বর ও মেলা মাঠ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী সুজিত বসু । মূলত এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর পূণ্যার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি হতে পারে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা । পূণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসন ।
এক নজরে গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তা:
- মেলার নিরাপত্তা বাড়াতে অস্থায়ী 11টি ফায়ার স্টেশন তৈরি হয়েছে ৷
- মেলা গ্রাউন্ডে 6টি ফায়ার স্টেশন থাকবে এবং মেলার বাইরে থাকবে 5টি স্টেশন ।
- অগ্নি নির্বাপনের জন্য আরও বেশী সংখ্যক বাইকের ব্যবহার করা হবে । এই বাইকে জল ও ফোম বহন করা যায় । ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে এই বাইক ।
- জলের সমস্যা মেটাতে হাইড্রেন তৈরি করা হচ্ছে । 2 হাজার 87টি হাইড্রেন পয়েন্ট থেকে জল সরবরাহ করা হবে।
- দমকলের আধিকারিক ও অপারেটর মিলিয়ে মোট 260 জন মেলার কাজে যুক্ত হবে ।
- এছাড়া মেলা উপলক্ষ্যে কচুবেড়িয়ায় 1 লক্ষ 38 হাজার লিটার জলের ওয়াটার রিজারভার তৈরি হয়েছে ৷ সেটিও পরিদর্শন করেন দমকল মন্ত্রী ।