ETV Bharat / state

সাপে কাটার চিকিৎসা করাতে কালনা থেকে ক্যানিংয়ে

বিগত কয়েক বছর ধরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সাপে কাটা ব্যক্তির চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা ৷ এমনকী মৃতপ্রায় হয়েও হাসপাতালে এসে প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন অনেকেই ৷ তাই কালনা থেকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন সন্ন্যাসী বিশ্বাস ৷

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল
author img

By

Published : Aug 31, 2019, 3:43 PM IST

ক্যানিং, 31 অগাস্ট: সরকারের তরফে প্রচার অভিযান চললেও জনমানসে গড়ে ওঠেনি কোনও সচতেনতা ৷ তাই সাপে কাটার পর কোনও ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে তাঁর পরিবারের একমাত্র ভরসা ওঝা ৷ কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সাপে কাটা ব্যক্তির চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা ৷ এমনকী মৃতপ্রায় হয়েও হাসপাতালে এসে প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন অনেকেই ৷ তাই কালনা থেকে অনেকেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন ৷

গত বুধবার বিকেলে জমিতে কাজ করার সময় সাপের কামড় খান সন্ন্যাসী বিশ্বাস ৷ তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি বিশ্বাস প্রথমে স্বামীকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কল্যাণী হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু সেখান থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্ন্যাসী বিশ্বাসকে NRS হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ৷ কিন্তু সেখানে তাঁকে না নিয়ে গিয়ে তাঁর পরিবার বাড়ি নিয়ে যান ৷ সেখানে শুরু হয় ওঝার ঝাড়ফুঁক ৷ ফলে সন্ন্যাসীবাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে ৷ পরে বাসন্তীর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শুনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন সন্ন্যাসী বিশ্বাস ৷ আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷

হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "ওঁর অবস্থা স্থিতিশীল ৷ যেহেতু চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়, তাই একটু সময় লাগবে ৷ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ তার রিপোর্ট দেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ "

উল্লেখ্য 12 অগাস্ট বাসন্তীর জয়গোপালপুর গ্রামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে সাপে ছোবল মারে ৷ কিন্তু তার পরিবার হাসপাতালের বদলে তাকে নিয়ে যায় ওঝার কাছে ৷ দু'ঘণ্টা ঝাড়ফুঁক চলার পর ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে আসা হয় বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ সেখান থেকে ওই পড়ুয়াকে স্থানান্তরিত করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর ৷

ক্যানিং, 31 অগাস্ট: সরকারের তরফে প্রচার অভিযান চললেও জনমানসে গড়ে ওঠেনি কোনও সচতেনতা ৷ তাই সাপে কাটার পর কোনও ব্যক্তিকে সুস্থ করে তুলতে তাঁর পরিবারের একমাত্র ভরসা ওঝা ৷ কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সাপে কাটা ব্যক্তির চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা ৷ এমনকী মৃতপ্রায় হয়েও হাসপাতালে এসে প্রাণ ফিরে পাচ্ছেন অনেকেই ৷ তাই কালনা থেকে অনেকেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন ৷

গত বুধবার বিকেলে জমিতে কাজ করার সময় সাপের কামড় খান সন্ন্যাসী বিশ্বাস ৷ তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি বিশ্বাস প্রথমে স্বামীকে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কল্যাণী হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু সেখান থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সন্ন্যাসী বিশ্বাসকে NRS হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন ৷ কিন্তু সেখানে তাঁকে না নিয়ে গিয়ে তাঁর পরিবার বাড়ি নিয়ে যান ৷ সেখানে শুরু হয় ওঝার ঝাড়ফুঁক ৷ ফলে সন্ন্যাসীবাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে ৷ পরে বাসন্তীর এক আত্মীয়ের কাছ থেকে শুনে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন সন্ন্যাসী বিশ্বাস ৷ আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে ৷

হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "ওঁর অবস্থা স্থিতিশীল ৷ যেহেতু চন্দ্রবোড়া সাপের কামড়, তাই একটু সময় লাগবে ৷ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে ৷ তার রিপোর্ট দেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ "

উল্লেখ্য 12 অগাস্ট বাসন্তীর জয়গোপালপুর গ্রামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে সাপে ছোবল মারে ৷ কিন্তু তার পরিবার হাসপাতালের বদলে তাকে নিয়ে যায় ওঝার কাছে ৷ দু'ঘণ্টা ঝাড়ফুঁক চলার পর ওই পড়ুয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে আসা হয় বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ সেখান থেকে ওই পড়ুয়াকে স্থানান্তরিত করা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর ৷

Intro:গত বুধবার বিকালে জমিতে সন্ন্যাসী বিশ্বাস ও তার স্ত্রী তৃপ্তি বিশ্বাস জমিতে ধানের বীজ রোপণ করছিল সেই সময় সন্ন্যাসী কে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড়ায়। তখন তার পরিবার প্রথমে তাকে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে পাঠানো হয় কল্যানী হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরিবার তাকে কলকাতায় না নিয়ে গিয়ে চলে যায় বাড়িতে। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চলে ওঝার কেরামতি। সেই ওঝার কেরামতিতে প্রাণ ওষ্ঠা গত সন্ন্যাসীর। খবর পায় বাসন্তীতে থাকা তাদের এক আত্মীয়। তারা বিশ্বাস দেয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করালে ভালো হয়ে যাবে। কারণ সাপে কাটা বহুজন এর আগে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তাই শুনে তারা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখন ক্যানিং হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। Body:অন্য দিকে গত ১২ ই আগষ্ট দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার জয়গোপাল পুর গ্রামে জ্যোতিষ পুর হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর এই ওঝার কেরামতির জন্য। মৃত হয় ছাত্রীর নাম রিমি মন্ডল( ১৩) বছর । অভিযোগ গতকাল রাতে নিজের বাড়িতে ঘুমাচ্ছিল রিমি। গভীর রাতে তাকে একটি কালাচ সাপ কামরায় তাঁর পায়ে।সাপের কামড়ে ঘুম ভেঙে চিৎকার করে ওঠে রিমি।অভিযোগ পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যায় পাশের গ্রামে একটি ওঝার কাছে ।সেখানে ওষুধ খাইয়ে প্রায় দুঘন্টা ধরে চলে ঝাড়ফুঁক।অবশেষে ধীরেধীরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সকালে বাসন্তী গ্রামীন হাসপাতাল এ নিয়ে আসা হয়।সেখানে থেকে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।অবশেষে ক্যানিং হাসপাতালে ওই ছাত্রীটির মৃত্যু হয়। এঘটনায় পরিবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পরে। Conclusion:সরকারি পক্ষ থেকে বহু মাধ্যম দিয়ে প্রচার চলছে সাপে কামড়ানো নিয়ে। কিন্তু তাতে ও কোন লাভ হচ্ছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত এর সদস্যরা সচেতন না করলে মানুষ সচেতন হবে না। এখন ক্যানিং হাসপাতালের উপর বিশ্বাস রেখে এখানেই চিকিৎসা চলছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.