কাকদ্বীপ, 25 জানুয়ারি: আবারও বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনার (accident) কবলে ট্রলার । চড়ে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ফুটো হয়ে প্রচুর পরিমাণে জল ঢুকতে শুরু করে (Fishing Trawler Sink in Bay of Bengal) ৷ এর জেরে ভেতরে থাকা মৎস্যজীবীরা (Fishermen) আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ ভয়ে জীবন বাঁচাতে হিমশীতল জলে ঝাঁপ দেন মৎস্যজীবীরা । এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনা বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপের কাছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 20 জানুয়ারি কাকদ্বীপের কেশব নারায়ণ নামে একটি ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে যায়। ট্রলারটিতে মোট 16 জন মৎস্যজীবী ছিলেন ৷ তাঁদের বাড়ি কাকদ্বীপ থানা এলাকায় । গভীর সমুদ্রে টানা তিন থেকে চার দিন ধরে মাছ ধরার পর মঙ্গলবার বন্দরে ফিরছিলেন তাঁরা ৷ সে সময় বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছে চড়ে ধাক্কা খেয়ে ফুটো হয়ে যায় ট্রলারের পাটাতন ।
ফুটো হয়ে জল ঢুকতে থাকায় ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার শুরু করে দেন মৎস্যজীবীরা । ধীরে ধীরে ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে । মৎস্যজীবীদের চিৎকার শুনে আশেপাশে থাকা অন্যান্য মৎস্যজীবীরা উদ্ধারকার্যে হাত লাগাযন এবং নিরাপদে 16 জনকে উদ্ধার করেন অন্যান্য ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা । ডুবন্ত ট্রলারটিকে উদ্ধার করে বন্দরে নিয়ে আসার চেষ্টা চালায় অন্যান্য মৎস্য ট্রলারগুলি । কারোর প্রাণহানি না হলেও ট্রলারে থাকা বিপুল অংকের টাকার মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে খবর ।
কাকদ্বীপের শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, "20 জানুয়ারি কেশব নারায়ণ বলে একটি কাকদ্বীপের ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় এবং ফেরার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে । চড়ে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ফুটো হয়ে যায় । আতঙ্কে ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুরু করে দেযন ৷ মৎস্যজীবীদের চিৎকার শুনে অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলাররা এগিয়ে আসেন উদ্ধারকার্যে । অন্যান্য মৎস্যজীবী ট্রলারের তৎপরতায় কেশব নারায়ণে থাকা সকল ব্যক্তিদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে । ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রলারটিকে উদ্ধার করে বন্দরে আনার চেষ্টা চালানো চলছে ।"
আরও পড়ুন: ট্রলারে বিধ্বংসী আগুন! প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ মৎস্যজীবীদের