গড়িয়া, 5 ডিসেম্বর: ভোরবেলা আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল গড়িয়া স্টেশন রোড এলাকায় ৷ সোমবার ভোর নাগাদ এই এলাকার আনন্দনগর স্কুলের পাশের একটি বাড়িতে আগুন লাগে(Fire Breaks out at a Factory Godown in Garia)। সেই বাড়ি যে আসলে একটি গোডাউন ছিল তা জানতেন না কেউই ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু'টি ইঞ্জিন । পরে পরিস্থিতি দেখে সেখানে পৌঁছয় আরও তিনটি ইঞ্জিন । তবে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন । ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা ।
বেশ কিছুক্ষণ আগুন জ্বলার পর বাড়ির ছাদের ফাটল দিয়ে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় । আশেপাশের এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এই ঘটনায় । তাঁদের আশঙ্কা, বাড়িটি ভেঙে পড়লে অন্যান্য বাড়ির মানুষের পক্ষে নিজেদের বাড়ি থেকে বেরনো কঠিন হয়ে যাবে ৷
আরও পড়ুন : নিউটাউনের বলাকা আবাসনে আগুন, ঘটনাস্থলে দু'টি ইঞ্জিন
সোনারপুর থানার গড়িয়া তেঁতুলবেড়িয়া অনুকূল চন্দ্র রোডে, অনুকূল হাইস্কুলের পাশের বাড়িটি নামে বসতবাড়ি হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তা লাউডস্পিকার তৈরির কারখানা ও গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় । ফলে লাউডস্পিকার তৈরির সমস্ত দাহ্য থেকে অতি দাহ্য পদার্থে ঠাসা তিনতলা বাড়ির পুরোটাই । সেইভাবে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থাও নেই, বলছেন গুদামের কেয়ারটেকার এবং দমকল আধিকারিক সকলেই । আতঙ্কিত এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুবার বিভিন্ন মহলে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ।
কারখানার মালিক এই মুহূর্তে কলকাতার বাইরে । তাঁর পরিচিত এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে এসে জানান, এটি পঞ্চায়েত এলাকা থাকাকালীনই এখানে কারখানা চলছে । এই ঘটনায় এখানে কাজের অনুমতি-সহ সবার নজর এড়িয়ে কীভাবে এই কাজ চলছিল এরকম বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
তবে কী থেকে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি । পাশপাশি আগুন লাগার পড়ে বেশ কিছুটা সময় লাগে তা নেভানোর কাজ শুরু করতে । শিরিশ কাগজ, গদের আঠা, অ্যাঢেসিভের মতো জিনিস এখানে প্যাকিং হতো বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : দমকলের 10টি ইঞ্জিন চেষ্টায় দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে টেরিটি বাজারের আগুন