ক্যানিং,3 জুলাই: অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। দেখা হতেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনোয়ারা পিয়াদা। তাঁর বাড়ির সামনে থেকে ফিরে আসতে হয়েছে রাজ্যপালকে। বাসন্তীর গাগরামারি গ্রাম থেকে রাজ্যপালের ক্যানিং যাওয়ার খবর পেয়েছিলেন পিয়াদা। যদিও বেপরোয়া হয়েই পরিচিতের বাইকে চেপে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন তিনি। ক্যানিংয়ে সেচ দফতরের বাংলোয় রাজ্যপালের সঙ্গে মুখোমুখি হলেন জিয়ারুল কন্যা। সরাসরি বাবা জিয়ারুল মোল্লার খুনিদের শাস্তির দাবি করলেন তিনি।
মনোয়ারা পিয়াদার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলা জুড়ে চলা রাজনৈতিক খুন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যপাল। ক্যানিংয়ে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকদের তিনি বললেন, "বাংলা জুড়ে যে রাজনৈতিক খুনোখুনি হচ্ছে, রক্ত দিয়ে যে হোলি খেলা হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। এই অরাজকতা কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না ।"
এদিন রাজ্যপালকে সামনে দেখে তাঁর পা জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন মনোয়ারা পিয়াদা। নিজেকে সামলেই জিয়ারুল মোল্লার খুনের ন্যায় বিচার চাইলেন তিনি। রবিবারই পিয়াদাকে ফোনে রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছিলেন বাসন্তীতে তিনি নিজে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। তখনই রাজ্যপালের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন পিয়াদা।
উল্লেখ্য, যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ছিলেন জিয়ারুল মোল্লা। মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর বাবাকে খুন করার নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দই বলে আভাসে-ইঙ্গিতে দাবি করেন পিয়াদা । ভোটের টিকিট ঘিরেই অশান্তির সূত্রপাত। শনিবার রাতে জিয়ারুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি । রবিবার থেকেই অশান্ত বাসন্তী ।
আরও পড়ুন: কাটলো বাহিনী জট, 485-এর মধ্যে 162 কোম্পানি আসছে অন্য রাজ্য থেকে
উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় ফিরে সোমবারই বাসন্তী পৌঁছন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন জিয়ারুল কন্যা। শেষ পর্যন্ত দেখা হল। নিজের উদ্যোগেই রাজ্যপালের কাছে পৌছলেন পিয়াদা। পাঁচ দিন পরই পঞ্চায়েত ভোট। বাবাকে হারিয়েছেন, রাজ্যপালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মনোয়ারা পিয়াদাকে আশ্বাস দিলেও প্রশ্ন থাকছে সেই নিরাপত্তা ঘিরেই।