জীবনতলা, 6 জুলাই : ছোট্ট মেয়ের সামনেই মাকে মারধর করে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে ৷ বাবাকে এই কাজে সঙ্গ দিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলা থানার অন্তর্গত মাকালতলা গ্রামে ৷ মৃত গৃহবধূ হলেন লতিকা সর্দার (32) ৷
এক বছর আগে লতিকাকে ভালবেসে বিয়ে করে রাকেশ সর্দার ৷ ভালোবাসার টানে লতিকাও স্বামীকে ছেড়ে সুখে সংসার করবে ভেবে রাকেশের হাত ধরে ঘুটিয়ারি শরিফে এসে ভাড়া থাকতে শুরু করে । জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসতের লতিকা দুই কন্যাকে নিয়ে এসে রাকেশের সঙ্গে ভালই ছিল ঘুটিয়ারি শরিফের মাকালতলা গ্রামে ।
কিছুদিন থাকার পরে লতিকা জানতে পারে রাকেশের আরও একজন স্ত্রী রয়েছে ৷ সেই নিয়েই দু'জনের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি ৷ এদিকে গত রবিবার রাকেশের প্রথম পক্ষের স্ত্রী জানতে পারে তাঁর স্বামী লতিকাকে নিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফে সংসার পেতেছে ৷ এরপরই সে ঘুটিয়ারি শরিফে রাকেশের বাড়িতে এসে লতিকাকে বেধড়ক মারধর করার পর তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ এমনটাই অভিযোগ করেছে লতিকার দিদি ও বোন ৷
আরও পড়ুন : Road Accident : ডায়মন্ড হারবারে জাতীয় সড়কে লরি উল্টে মৃত 1, জখম 3
রবিবার লতিকাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় । সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় ৷ মঙ্গলবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় লতিকার ৷ এরপর ক্যানিং থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় ।
ইতিমধ্যেই রাকেশ ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত লতিকার পরিবার ৷ এই গোটা ঘটনায় লতিকার আগের পক্ষের ছোট্ট মেয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ক্যানিং থানায় । ছোট্ট শিশুটি জানায়, রাকেশ ও তার আগের স্ত্রী মারধর করে মায়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ৷ অভিযুক্ত রাকেশ ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ ৷