ETV Bharat / state

"ভোট মিটলে দেখা যায় না নেতাদের", মাথাব্যথাও নেই মৎস্যজীবীদের - Not interested

রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীর কাছে বিকল্প কর্মসংস্থান ও নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি করছেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা ।

সুন্দরবন
author img

By

Published : May 15, 2019, 1:47 PM IST

Updated : May 15, 2019, 2:13 PM IST

সুন্দরবন, 15 মে: "রাজা আসে যায়, রাজা বদলায়... দিন বদলায় না ।"- কবিতার এই পঙক্তিগুলোই সারসত্য সুন্দরবনবাসীর কাছ । রাজ্যজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ এখনও এসে পোঁছায়নি জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি, জয়নগর ব্লকে । কারণ, বারবার শাসক বদল হয়, কিন্তু সুন্দরবনের মানুষগুলোর জীবনযাপনে কোনও বদল হয় না । নেই বিকল্প কর্মসংস্থান । নেই মাথার নিরাপদ ছাদ । তাই ভোট নিয়ে মাথাব্যথা নেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবনবাসীর ।

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার নির্বাচন বাকি । স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের প্রাক্কালে জয়নগর কেন্দ্রের প্রতিটি ব্লক, বিধানসভা এলাকায় বেড়েছে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর ভিড় । জোরকদমে চলছে প্রচার, মিছিল । কিন্তু ভোট নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ সুন্দরবনের ঝড়খালি, লাহিড়ীপুর, পাখিরালয়, গোসাবা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস্যজীবীরা । সিকান্দর সাহানির মতে, "ভোটের সময়ই নেতাদের দেখা যায় । ভোট শেষ হলেই কোনও নেতাই আমাদের আর চেনে না । শুধু প্রতিশ্রুতিই সার । নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরে কোনওরকমে চলে সংসার ।" আরও এক মৎস্যজীবী বলেন, "কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা পাই না । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই । আয়লার ক্ষতিপূরণও পাইনি । ভোট আসে, ভোট যায় তাতে আমাদের কোনও সুরাহা হয় না । ফলে নদীতে মাছ ধরে, জঙ্গলে কাঠ কেটে, কাঁকড়া ধরে পেট চালাতে হয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো

বেঁচে থাকার তাগিদেই প্রাণ হাতে করে রোজ প্রতি মুহূর্তে জীবনযুদ্ধে সামিল হন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা । ভোট মিটলেই এলাকায় নেতাদের যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায় । যে দলই ভোটে জয়ী হোক না কেন, তাদের কাছে বিকল্প কর্মসংস্থান ও নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি করছেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা ।

সুন্দরবন, 15 মে: "রাজা আসে যায়, রাজা বদলায়... দিন বদলায় না ।"- কবিতার এই পঙক্তিগুলোই সারসত্য সুন্দরবনবাসীর কাছ । রাজ্যজুড়ে লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ এখনও এসে পোঁছায়নি জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বাসন্তী, গোসাবা, কুলতলি, জয়নগর ব্লকে । কারণ, বারবার শাসক বদল হয়, কিন্তু সুন্দরবনের মানুষগুলোর জীবনযাপনে কোনও বদল হয় না । নেই বিকল্প কর্মসংস্থান । নেই মাথার নিরাপদ ছাদ । তাই ভোট নিয়ে মাথাব্যথা নেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবনবাসীর ।

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার নির্বাচন বাকি । স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচনের প্রাক্কালে জয়নগর কেন্দ্রের প্রতিটি ব্লক, বিধানসভা এলাকায় বেড়েছে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীর ভিড় । জোরকদমে চলছে প্রচার, মিছিল । কিন্তু ভোট নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ সুন্দরবনের ঝড়খালি, লাহিড়ীপুর, পাখিরালয়, গোসাবা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস্যজীবীরা । সিকান্দর সাহানির মতে, "ভোটের সময়ই নেতাদের দেখা যায় । ভোট শেষ হলেই কোনও নেতাই আমাদের আর চেনে না । শুধু প্রতিশ্রুতিই সার । নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরে কোনওরকমে চলে সংসার ।" আরও এক মৎস্যজীবী বলেন, "কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা পাই না । স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই । আয়লার ক্ষতিপূরণও পাইনি । ভোট আসে, ভোট যায় তাতে আমাদের কোনও সুরাহা হয় না । ফলে নদীতে মাছ ধরে, জঙ্গলে কাঠ কেটে, কাঁকড়া ধরে পেট চালাতে হয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো

বেঁচে থাকার তাগিদেই প্রাণ হাতে করে রোজ প্রতি মুহূর্তে জীবনযুদ্ধে সামিল হন সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা । ভোট মিটলেই এলাকায় নেতাদের যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যায় । যে দলই ভোটে জয়ী হোক না কেন, তাদের কাছে বিকল্প কর্মসংস্থান ও নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি করছেন জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা ।

Intro:বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় 'ফণী'র কারণে। মৎস্যজীবীদের ২রা মে থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। যে সকল মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে আছেন, তাঁদের ১লা মে বিকালের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। Body:বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় 'ফণী'র কারণে আগামী ২রা থেকে ৪ঠা মে সাগর ও বকখালির পর্যটকদের সমুদ্রে নামতেও নিষেধ করা হয়েছে। তবে সমুদ্র উপকূলে বসবাসকারী মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি আবহাওয়া দপ্তর থেকে নিষেধ করা হয়েছে যে সব মৎস্যজীবী কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা ও সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় তাদের কে এই ৩ থেকে ৪ দিন যেনো সমুদ্রে না নামে। এর পাশাপাশি প্রশাসন কে এই কটা দিন সজাগ থাকার ও রিলিফ কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।Conclusion:আজ দুপুর থেকে সুন্দর বনের বিভিন্ন এলাকায় মাইক করে প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। ঝড় খালীর বিভিন্ন এলাকায় থানার পক্ষ থেকে মাইক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ঝড় খালির বেশির ভাগ মানুষ জঙ্গলের উপর নির্ভরশীল। জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরে জীবন যাপন করে। প্রশাসনের সতর্কবার্তায় জঙ্গল ছাড়ছে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। ইতিমধ্যেই আইলার ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে সুন্দরবন বাসি। এবার ফনির আতঙ্ক ভাবাচ্ছে সবাইকে। বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। আয়নার মতন ভয়ঙ্কর হলে কি হবে তাদের। সেই নিয়ে চিন্তায় সুন্দরবন বাসি।
Last Updated : May 15, 2019, 2:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.