ETV Bharat / state

জয়নগরে এবার পুজোর শরৎ হেমন্তময় - Pujo Commitee decided to play songs to tribute Hemanta

শিল্পীর বিভিন্ন গানের থিম নিয়ে তৈরি হয়েছে ট্যাবলো । সেগুলি নিয়ে সপ্তমীতে হবে প্রভাতফেরি । এরপর জয়নগরের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে শিল্পীকে । অনেক পুজো কমিটি অবশ্য শুধু সপ্তমী নয়, পুজোর চারদিনই হেমন্তের গান বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Oct 3, 2019, 2:49 PM IST

জয়নগর, 3 অক্টোবর : একসময় পুজোর গান মানেই ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান । গত শতাব্দীর পাঁচের দশক থেকে পর পর কয়েকটি দশক ধরে হেমন্তের গানেই পুজোয় মেতেছিল বাঙালি ।

জন্ম 1920 সালের 16 জুন বারাণসীতে মামার বাড়িতে । কিন্তু ছেলেবেলার একটা দীর্ঘ সময় কেটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত বহড়ুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় । এখানেই আদি বাড়ি সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের । শিল্পীর জন্ম শতবর্ষে তাই গ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে চান তাঁকে । এবছর দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনটি হেমন্ত দিবস হিসেবে পালিত হবে জয়নগর থানা এলাকা জুড়ে । ওই দিন জয়নগর থানা এলাকার প্রত্যেকটা পুজো মণ্ডপে বাজানো হবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান ।

জয়নগর থানা এলাকায় মোট 103 টি বারোয়ারি ও 25 টি বনেদি বাড়ির পুজো হয়। তাদের কাছে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর এই অভিনব প্রস্তাবটি প্রথম দেন জয়নগর থানার IC অতনু সাঁতরা । তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হন পুজোর উদ্যোক্তারা । শিল্পীর বিভিন্ন গানের থিম নিয়ে তৈরি হয়েছে ট্যাবলো । সেগুলি নিয়ে সপ্তমীতে হবে প্রভাতফেরি । এরপর জয়নগরের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে শিল্পীকে । অনেক পুজো কমিটি অবশ্য শুধু সপ্তমী নয়, পুজোর চারদিনই হেমন্তের গান বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এছাড়া অনেক পুজো কমিটি শিল্পীর ছবি দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অনেক মণ্ডপে থাকছে হেমন্তের স্ট্যাচু । তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য সেলফি স্ট্যান্ডও থাকছে ।

জয়নগরের বহড়ু হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । ক্লাস সিক্স পর্যন্ত এখানেই পড়াশোনা করেন তিনি । পরে কলকাতায় চলে যান পরিবারের সঙ্গে । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই পিতৃভূমি আজও আছে বহড়ুতে । জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা তার । কলকাতায় চলে গেলেও অনেক বছর বহড়ুর সঙ্গে যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল হেমন্তের । এখানে লাইব্রেরি তৈরির জন্য কলকাতায় শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি । 1989 সালে বহড়ুর শ্যামসুন্দর পাবলিক লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি । সে বছরই 26 সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর ।

জয়নগর, 3 অক্টোবর : একসময় পুজোর গান মানেই ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান । গত শতাব্দীর পাঁচের দশক থেকে পর পর কয়েকটি দশক ধরে হেমন্তের গানেই পুজোয় মেতেছিল বাঙালি ।

জন্ম 1920 সালের 16 জুন বারাণসীতে মামার বাড়িতে । কিন্তু ছেলেবেলার একটা দীর্ঘ সময় কেটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত বহড়ুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় । এখানেই আদি বাড়ি সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের । শিল্পীর জন্ম শতবর্ষে তাই গ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে চান তাঁকে । এবছর দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনটি হেমন্ত দিবস হিসেবে পালিত হবে জয়নগর থানা এলাকা জুড়ে । ওই দিন জয়নগর থানা এলাকার প্রত্যেকটা পুজো মণ্ডপে বাজানো হবে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান ।

জয়নগর থানা এলাকায় মোট 103 টি বারোয়ারি ও 25 টি বনেদি বাড়ির পুজো হয়। তাদের কাছে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর এই অভিনব প্রস্তাবটি প্রথম দেন জয়নগর থানার IC অতনু সাঁতরা । তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হন পুজোর উদ্যোক্তারা । শিল্পীর বিভিন্ন গানের থিম নিয়ে তৈরি হয়েছে ট্যাবলো । সেগুলি নিয়ে সপ্তমীতে হবে প্রভাতফেরি । এরপর জয়নগরের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে শিল্পীকে । অনেক পুজো কমিটি অবশ্য শুধু সপ্তমী নয়, পুজোর চারদিনই হেমন্তের গান বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এছাড়া অনেক পুজো কমিটি শিল্পীর ছবি দিয়ে মণ্ডপ সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । অনেক মণ্ডপে থাকছে হেমন্তের স্ট্যাচু । তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য সেলফি স্ট্যান্ডও থাকছে ।

জয়নগরের বহড়ু হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় । ক্লাস সিক্স পর্যন্ত এখানেই পড়াশোনা করেন তিনি । পরে কলকাতায় চলে যান পরিবারের সঙ্গে । হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই পিতৃভূমি আজও আছে বহড়ুতে । জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা তার । কলকাতায় চলে গেলেও অনেক বছর বহড়ুর সঙ্গে যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল হেমন্তের । এখানে লাইব্রেরি তৈরির জন্য কলকাতায় শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি । 1989 সালে বহড়ুর শ্যামসুন্দর পাবলিক লাইব্রেরির অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি । সে বছরই 26 সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর ।

Intro:তাঁর জন্ম ১৯২০ সালের ১৬ই জুন বারানসীতে মামার বাড়িতে। কিন্তু ছেলেবেলার একটা দীর্ঘ সময় কেটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর থানার অন্তর্গত বহড়ুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। এখানেই আদি বাড়ি প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের। জন্ম শতবর্ষে তাই শিল্পীর গ্রাম শ্রদ্ধা জানাতে চান তাকে। এবারের দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিনটিকে হেমন্ত দিবস হিসেবে পালিত হবে জয়নগর থানা এলাকা জুড়ে।



জয়নগর থানা এলাকায় মোট ১০৩ টি বারোয়ারি ও ২৫টি বনেদী বাড়ির পুজো রয়েছে। সকল পুজো উদ্যোক্তারাই এবার সপ্তমীতে সারাদিন ধরে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান বাজাবেন তাদের পুজো মন্ডপে। ঐদিন সকালে শিল্পীর বিভিন্ন গান অনুসারে তৈরি ট্যাবলো নিয়ে শুরু হবে প্রভাতফেরী। এরপর জয়নগরের মুক্তমঞ্চে বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে।Body:জয়নগরের বহড়ু হাইস্কুলের ছাত্র ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত এখানেই পড়াশুনা করেন তিনি। পরে কলকাতায় চলে যান পরিবারের সাথে। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই পিতৃভূমি আজও আছে বহড়ুতে। জরাজীর্ণ, ভগ্নদশা তার। বর্তমানে মুখোপাধ্যায় পরিবারের কেউই সেভাবে থাকেন না এখানে। তবে দূর সম্পর্কের কিছু আত্মীয়স্বজন আশপাশের এলাকায় থাকেন। তবে কলকাতায় চলে গেলেও এই বহড়ুর সাথে যথেষ্ট যোগাযোগ ছিল হেমন্তের। এখানে লাইব্রেরী তৈরির জন্য কলকাতায় নামকরা শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করে অর্থ সংগ্রহ ও করেছিলেন তিনি। শেষ ১৯৮৯ সালে বহড়ুর শ্যামসুন্দর পাবলিক লাইব্রেরীর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তিনি। সেবছরই ২৬শে সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় এই শিল্পীর।



একসময় পুজোর গান মানেই ছিল হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান। পঞ্ছাশের দশক থেকে শুরু করে পরপর কয়েকটি দশকে হেমন্তই মাতিয়েছেন পুজোর গানে। কিন্তু মাঝখানে ছেদ পড়লেও এবার আবারও এই শরৎ মুখরিত হতে চলেছে হেমন্তের গানে। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে তাই জয়নগর থানার আই সি অতনু সাঁতরা পুজো কমিটি গুলিকে প্রথম প্রস্তাব দেন সপ্তমীর দিন মণ্ডপে মণ্ডপে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান বাজানোর। আর সেই প্রস্তাব সকল পুজো উদ্যোক্তারাই মেনে নেন একযোগে। কোন কোন উদ্যোক্তা এবার সমগ্র পুজোতেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গান বাজাবার পরিকল্পনা নিয়েছে। এছাড়াও মণ্ডপে মণ্ডপে হেমন্তের ছবিতে মাল্যদান, হেমন্তের সাথে সেলফি তোলার জন্য সেফি স্ট্যান্ড সহ আরও বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে। Conclusion:Intro ও body তে কপি দিলাম।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.