গঙ্গাসাগর, ৪ জানুয়ারি : সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা । যে কারণে মুড়িগঙ্গা নদীতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ড্রেজ়িংয়ের কাজ ।
গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে মুড়িগঙ্গা নদীতে প্রচুর পরিমাণ পলি জমে । বছরভর কাকদ্বীপের লট নম্বর আট থেকে সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়াতে পারাপারের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিত্যযাত্রী থেকে তীর্থযাত্রীদের । কারণ ভাটার সময় নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় 6-7 ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখতে হয় ভেসেল সার্ভিস । ফলে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা থেকে গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েন নদীর দু’প্রান্তের জেটিঘাটে । এমনকী মেলার সময় লাখ লাখ পুণ্যার্থীর ঢল নামলে সেই দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে।
দ্বীপবাসী ও ভিনরাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের এই দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মুড়িগঙ্গা নদীতে জমা পলি সরাতে ড্রেজ়িংয়ের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছিল আন্তর্দেশীয় জলপথ পরিবহন নিগমকে (ইনল্যান্ড ওয়াটার্স)। 2018 সালে গঙ্গাসাগর মেলা শুরুর আগে থেকে বছরভর পাঁচটি অত্যাধুনিক ড্রেজ়ার ও চারটি পলি কাটার মেশিন দিয়ে নিয়মিত নদীতে জমা পলি সরানোর কাজ চালানো হয় । টানা পাঁচ বছর নদীর পলি ড্রেজ়িংয়ের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছিল ।
বছরভর টানা ড্রেজ়িংয়ের ফলে মুড়িগঙ্গা নদীতে নতুন একটি চ্যানেল তৈরি করা গিয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের কর্তাদের । লাগাতার ড্রেজ়িং করে সেই চ্যানেল পরিস্কার রাখার কাজ জারি রাখা হয়েছে । তবে মেলার কয়েকটি দিন নামখানা-বেনুবন পয়েন্টে বেশি সংখ্যক লঞ্চ নামিয়ে পুণ্যার্থীদের পারাপারের উপর বেশি জোর দিচ্ছে জেলা প্রশাসন ।