আমতলা, ১৫ মার্চ : "দীনেশ ত্রিবেদীকে ব্যারাকপুরের মানুষ ভালোবেসে জেতাবেন। দু'লাখের বেশি ভোটে জিতবেন তিনি। একটাও ভোট যদি কম পায়, তাহলে আমায় বলবেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেবেন, অন্য কাউকে দেখে নয়।" অর্জুন সিং-কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীনেশকে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। তাঁর কথাতেও তা প্রকাশ পেয়েছিল। বলেছিলেন, "একজন কাউন্সিলর ভোটে না জিতে মন্ত্রী হতে পারেন, আর আমি তো চারবারের বিধায়ক, লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার দাবিদার হতেই পারি।" এরপরই গতকাল BJP-তে যোগ দেন অর্জুন সিং। BJP-তে যোগ দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, "দেশের ভালো চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মা-মাটি-মানুষ এখন মানি মানি মানি।"
গতকাল মিমি, চৌধুরি মোহন জাটুয়াকে নিয়ে আমতলায় প্রচারে নামেন অভিষেক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে প্রায় সাতদিন, কিন্তু BJP, কংগ্রেস, CPI(M)-র কোনও টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ৪২টি কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে এরা হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। এরা হিংসা, বিভাজনে রয়েছে। কিন্তু আমরা মাঠে, ময়দানে আছি।"
অর্জুন সিং-এর দলবদল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণের পালটা জবাব দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "মানুষ অর্জুনকে দেখে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেবেন। অর্জুন টিকিট পায়নি বলেই BJP-তে গেছে। অনুপম হাজরাকে আমরা দল থেকে বের করে দিয়েছি। সৌমিত্র খাঁ টিকিট পাবে না তাই BJP-তে গেছে। দলে লোভীদের কোনও স্থান নেই।"
অর্জুন সিং-কে ঝাড়খণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি দলত্যাগ করায় কি হিন্দিভাষীদের উপর প্রভাব পড়বে ? এর উত্তরে অভিষেক বলেন, "কোনও প্রভাব পড়বে না। কাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তিনি তাঁর সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন। সংগঠন পালটায় কিন্তু, নেত্রীর ছবি একটাই।"
গতকাল, যাদবপুরের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তৃণমূল সূত্রে খবর, আরাবুল ও কাইজ়ারকে পাশে বসিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা ভুলে মিমিকে জেতানোর জন্য টার্গেট বেঁধে দেন অভিষেক। পাশাপাশি, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, বজবজ, মহেশতলা, ডায়মন্ডহারবার, মেটিয়াব্রুজ়, ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্বকে নির্বাচনের প্রচারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন তিনি।