কাকদ্বীপ, 13 অক্টোবর: সুন্দরবন সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে এবার গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! আর তা নিয়েই কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পড়ল পোস্টার। যা কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পোস্টারে পরিষ্কার লেখা, "দেবাশিস তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি।" পাশাপাশি পোস্টারে আরও উল্লেখ করা রয়েছে, "কাকদ্বীপে আরও একটা আবুজেল মোল্লার ঘটনা ঘটুক এমনটা যদি না-চাস তাহলে সাবধান হ।"
মূলত পোস্টারে থাকা এই আবুজেল মোল্লা কাকদ্বীপ বিধানসভার নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন ৷ এমনকী তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। 2016 সালে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। অন্যদিকে, পোস্টারে আরও এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাসেরও নাম রয়েছে। কাকদ্বীপ বিধানসভার রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতে 2013 থেকে 2017 পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তাঁরও মৃত্যু হয়েছে ৷ আর্থিক দুর্নীতির দায়ে 2017 সালের অক্টোবর মাসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
পোস্টারে এই ঘটনা উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, 'যদি বুদ্ধ অথবা আবুজেল মোল্লার মতো তোর অবস্থা না-হয়, তাহলে আগে থেকে শুধরে যা।' পোস্টারে আরও রয়েছে, কাকদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার নামও। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো গুলি করে খুন করার হুমকির পোস্টার ঘিরে আতঙ্কিত ছাত্র পরিষদের সভাপতি। এ বিষয়ে হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও পড়েছে পোস্টার।
বর্তমানে তাঁর স্ত্রী রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ছাড়া অন্য কিছুই না বলে জানানো হয়েছে ৷ তবে এই প্রাণনাশের হুমকির পোস্টার ঘিরে রীতিমতো সরগরম কাকদ্বীপ ৷
আরও পড়ুন: সিবিআই তদন্তের হুমকি গিরিরাজের, স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রীকে পালটা গ্রেফতারির দাবি অভিষেকের