সোনারপুর, 1 জুলাই : বাচ্চাদের মালকিনের কাছে রেখে পরিচারিকার কাজে যেতেন বেবি মণ্ডল । একজনের বয়স দেড়, অন্যজনের আড়াই । কাজে যোগ দেওয়ার সময় মালকিনের সঙ্গে কথা হয়েছিল, কাজের টাইমে বাচ্চাদের বাড়িতে রাখার কেউ নেই, তাই তারা থাকবে মালকিনের "আয়া সেন্টার"-এ । কাজ সেরে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ি ফিরতেন মা বেবি মণ্ডল । শনিবারও তাদের মালকিনের কাছে রেখে কাজে বেরিয়েছিলেন বেবি । অভিযোগ, দুষ্টুমি করায় মালকিন সৌমিতা হালদার ও তার স্বামী বেধড়ক মারধর করে বাচ্চা দু'টিকে । মারধরে শিশুদুটি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে তাদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয় । শনিবার রাতেই বেবি সোনারপুর থানায় "আয়া সেন্টার"-এর মালকিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । স্বামী রাজু হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
ক্যানিংয়ের গৌড়দহের বাসিন্দা বেবি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে সোনারপুরের বিদ্যাধরপুরে থাকেন । স্বামী তার সঙ্গে থাকেন না । কাজের খোঁজে সৌমিতা হালদারের সঙ্গে বেবির পরিচয় । সৌমিতা বেবিকে আয়ার কাজ দেন । সৌমিতার পরামর্শ মতো তার সেন্টারে বেবি বাচ্চাদের রেখে আয়ার কাজ করতে যেতেন । শনিবার কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় বেবি দেখেন বাচ্চাদের মারধর করা হয়েছে । তারা ঠিকমতো হাঁটতে পারছে না । বেবিকে সৌমিতা জানায়, বাচ্চার দুষ্টুমি করছিল, তাই মারা হয়েছে ।
বেবির অভিযোগ, বড় ছেলে আড়াই বছরের রকিকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে, সে দু'পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না । হাঁটতে পারছে না । মেয়ে রাখিকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে । আয়া সেন্টারের মালকিন সৌমিতা ও তাঁর স্বামী রাজু হালদার মিলে মারধর করেছে । শনিবার রাতেই সোনারপুর থানার সহযোগিতায় বেবি তাঁর দুই সন্তানকে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান । সেখান থেকে শিশুদুটিকে মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় । গতকাল সকালে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে তারা ।