কলকাতা, 18 এপ্রিল: রাজ্য ক্যাবিনেটের সম্মতির পরও দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার আমতলাকে পৌরসভা ঘোষণা করা হল না কেন ৷ সেই আর্জিতে মঙ্গলবার জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশে জানিয়েছে, রাজ্যপালের কাছে লিখিত আবেদন দেওয়ার পর তিনি এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিকভাবে এই বিষয়ে জানাতে পারেন সেটাই নিয়ম। আইনে পুরোপুরি রাজ্যপালের সন্তুষ্টি ও সম্মতির কথা বলা রয়েছে । আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না ।
মামলাকারী রাজ্যের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন আমতলাকে পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করার। কারণ এই বিষয় 2016 সালে ক্যাবিনেটের সম্মতির পর তা রাজ্যপালেরও সম্মতি পেয়েছিল। মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, আমতলাকে পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করা হোক 2007 সালে এই আর্জি জানানো হয়েছিল। 2011 সালে রাজ্যের মিউনিসিপ্যাল এফেয়ার জানায়, এ ব্যাপারে রাজ্যপালের সম্মতি প্রয়োজন। 2016 সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যাবিনেট সম্মতি দেয় । 2019 সালে মিউনিসিপ্যাল এফেয়ার ডিপার্টমেন্ট জানায়, কেবল বিজ্ঞপ্তি জারি করলেই হয়ে যাবে। বহু পৌরসভা অনুমোদন পেয়েছিল ওই সময়ে। তবে আমতলাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে না । মামলাকারীর তরফে আর এক আইনজীবী কল্লোল বসু বলেন, "আমলারা কী রাজ্য ক্যাবিনেটের ও রাজ্যপালের সম্মতি থাকার সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তি জারি না করে আটকে রাখতে পারে এই বিষয়টিকে ?" ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তাতে উল্লেখ করেন, কিন্তু সমস্ত শর্ত কি পূরণ হয়েছে পৌরসভা তৈরির ? রাজস্ব আদায়-সহ অন্যান্য বিষয়, জনসংখ্যার বিষয় ? যদি হয় রাজ্যপাল বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেন। তাতে যদি কারও আপত্তি থাকে, সেটা পরবর্তীতে বিচার্য ব্যাপার। আদালত আদেশ দিতে পারে না। কারণ রাজ্যপাল এখানে মামলায় যুক্ত নন। রাজ্যপালের ক্ষমতা আছে প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানোর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে গিয়েছে বলেও এদিন জানায় আদালতে ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের