ETV Bharat / state

Kali Puja 2023: বারুইপুরে শিবানীপীঠে নিমকাঠের কালী বিগ্রহকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ভাত-মাছ-তরকারি - kali puja in baruipur

কালীঘাটের কালী কলকাতার অধীশ্বরী হলেও অন্যান্য মন্দিরের দেবী কালীকা কলকাতার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে রয়েছে দেবী কালীকার এমনই এক পীঠস্থান যা শিবানীপীঠ নামে পরিচিত। এখানে মাকে দেওয়া হয় মাছ, ভাত, তরকারি, চাটনি থেকে আরও অনেক পদ ৷ কীভাবে এই পুজো শুরু হল জানুন বিস্তারিত ৷

কালী বিগ্রহকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় ভাত-মাছ-তরকারি
Kali Puja 2023
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 8, 2023, 7:55 PM IST

কালী বিগ্রহকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় ভাত-মাছ-তরকারি

বারুইপুর, 8 নভেম্বর: দেবীর পীঠস্থান এই বঙ্গে বহু স্থানে রয়েছে। বলা যেতে পারে, এই বঙ্গদেশের মাহাত্ম্যই দেবীপীঠের জন্য। এছাড়া অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান তো আছেই। বঙ্গদেশের মধ্যে কলকাতা হল কালীক্ষেত্র। তিলোত্তমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও বহু প্রাচীন কালীমন্দিরের ইতিহাস। কালীঘাটের কালী কলকাতার অধীশ্বরী হলেও অন্যান্য মন্দিরের দেবী কালীকা কলকাতার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে রয়েছে দেবী কালীকার এমনই এক পীঠস্থান যা শিবানীপীঠ নামে পরিচিত। এই পীঠস্থান প্রতিষ্ঠা করেন সেই অঞ্চলের ভট্টাচার্যবাড়ির পূর্বপুরুষরা, যা আজ এক অতি মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থান হিসাবে পরিচিত।

এর ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায়, 1300 বঙ্গাব্দ নাগাদ বারুইপুর অঞ্চলের জমিদার রমেন্দ্র রায় চৌধুরী তাঁদের বংশের কুলদেবতার সেবার জন্য ব্রাহ্মণ নিয়ে আসেন লক্ষ্মীকান্তপুরের গোকর্ণি থেকে। তাঁরা ছিলেন ভট্টাচার্য ৷ সেই ব্রাহ্মণদের তিনি তাঁর জমিদারিতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকে এই অঞ্চলে একটি পাড়ার নাম হয় 'ভট্টাচার্য পাড়া', সেখানেই ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণরা থাকতে শুরু করেন। ব্রাহ্মণ হওয়ার সুবাদে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই শুরু করেন দুর্গাপুজো। পরবর্তীকালে ভট্টাচার্যবাড়ির ছেলে অক্ষয় কুমার ভট্টাচার্য 1939 খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন 'অক্ষয়কুঞ্জ' ৷ সেই বাড়িতেই তিনি শুরু করেন দুর্গাপুজো। এই পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু কালীপুজো পুজো শুরুর ইতিহাস কী?

অক্ষয়কুমারের নাতনি নিরুপমাদেবী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ অনুরূপাদেবী স্বপ্নাদেশ পান, তাঁদের বাড়ির পাশের পুকুরে দেবীর ঘট রয়েছে। সেইমতো পুকুর থেকে দেবীর ঘট তোলা হয়। এরপর মন্দিরের দেবীবিগ্রহের প্রথম নাম ছিল মা ভবানী। কিন্তু পরবর্তীকালে দুর্গাদাসবাবু (পরিবারের সদস্য) স্বপ্নাদেশ পান যে তাঁর মেয়ের নামে মা কালীকার নাম রাখতে। সেইমতো শিবানীর নামেই মায়ের নাম হয়। 1966 সালের কালীপুজোর দিন প্রতিষ্ঠিত হন মা শিবানী। এই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য।

দেবী বিগ্রহটি সম্পূর্ণ নিমকাঠের তৈরি এবং উচ্চতা প্রায় চার ফুট। বিগ্রহটি তৈরি করেন বারুইপুরেরই স্থানীয় শিল্পী। দেবীকে নিত্য আমিষ ভোগই নিবেদন করা হয় বলে জানালেন শুদ্ধস্বত্ত্ব ভট্টাচার্য। ভোগে থাকে সাদাভাত, ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। অতীতে বলিদান হলেও এখন সেই প্রথা বন্ধ। এই পীঠস্থানে কালীবিগ্রহ ছাড়া পারিবারিক নারায়ণ, গোপাল আরও দু'টি শিবমন্দির রয়েছে কেদারনাথ ও বিশ্বনাথ।

আরও পড়ুন: কাঁথেই থাকেন কালী! 400 বছরের পরম্পরা মেনে মায়ের পুজো; জানুন বিশেষত্ব

কালী বিগ্রহকে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় ভাত-মাছ-তরকারি

বারুইপুর, 8 নভেম্বর: দেবীর পীঠস্থান এই বঙ্গে বহু স্থানে রয়েছে। বলা যেতে পারে, এই বঙ্গদেশের মাহাত্ম্যই দেবীপীঠের জন্য। এছাড়া অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান তো আছেই। বঙ্গদেশের মধ্যে কলকাতা হল কালীক্ষেত্র। তিলোত্তমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও বহু প্রাচীন কালীমন্দিরের ইতিহাস। কালীঘাটের কালী কলকাতার অধীশ্বরী হলেও অন্যান্য মন্দিরের দেবী কালীকা কলকাতার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে রয়েছে দেবী কালীকার এমনই এক পীঠস্থান যা শিবানীপীঠ নামে পরিচিত। এই পীঠস্থান প্রতিষ্ঠা করেন সেই অঞ্চলের ভট্টাচার্যবাড়ির পূর্বপুরুষরা, যা আজ এক অতি মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থান হিসাবে পরিচিত।

এর ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায়, 1300 বঙ্গাব্দ নাগাদ বারুইপুর অঞ্চলের জমিদার রমেন্দ্র রায় চৌধুরী তাঁদের বংশের কুলদেবতার সেবার জন্য ব্রাহ্মণ নিয়ে আসেন লক্ষ্মীকান্তপুরের গোকর্ণি থেকে। তাঁরা ছিলেন ভট্টাচার্য ৷ সেই ব্রাহ্মণদের তিনি তাঁর জমিদারিতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকে এই অঞ্চলে একটি পাড়ার নাম হয় 'ভট্টাচার্য পাড়া', সেখানেই ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণরা থাকতে শুরু করেন। ব্রাহ্মণ হওয়ার সুবাদে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই শুরু করেন দুর্গাপুজো। পরবর্তীকালে ভট্টাচার্যবাড়ির ছেলে অক্ষয় কুমার ভট্টাচার্য 1939 খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন 'অক্ষয়কুঞ্জ' ৷ সেই বাড়িতেই তিনি শুরু করেন দুর্গাপুজো। এই পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু কালীপুজো পুজো শুরুর ইতিহাস কী?

অক্ষয়কুমারের নাতনি নিরুপমাদেবী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূ অনুরূপাদেবী স্বপ্নাদেশ পান, তাঁদের বাড়ির পাশের পুকুরে দেবীর ঘট রয়েছে। সেইমতো পুকুর থেকে দেবীর ঘট তোলা হয়। এরপর মন্দিরের দেবীবিগ্রহের প্রথম নাম ছিল মা ভবানী। কিন্তু পরবর্তীকালে দুর্গাদাসবাবু (পরিবারের সদস্য) স্বপ্নাদেশ পান যে তাঁর মেয়ের নামে মা কালীকার নাম রাখতে। সেইমতো শিবানীর নামেই মায়ের নাম হয়। 1966 সালের কালীপুজোর দিন প্রতিষ্ঠিত হন মা শিবানী। এই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য।

দেবী বিগ্রহটি সম্পূর্ণ নিমকাঠের তৈরি এবং উচ্চতা প্রায় চার ফুট। বিগ্রহটি তৈরি করেন বারুইপুরেরই স্থানীয় শিল্পী। দেবীকে নিত্য আমিষ ভোগই নিবেদন করা হয় বলে জানালেন শুদ্ধস্বত্ত্ব ভট্টাচার্য। ভোগে থাকে সাদাভাত, ভাজা, তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। অতীতে বলিদান হলেও এখন সেই প্রথা বন্ধ। এই পীঠস্থানে কালীবিগ্রহ ছাড়া পারিবারিক নারায়ণ, গোপাল আরও দু'টি শিবমন্দির রয়েছে কেদারনাথ ও বিশ্বনাথ।

আরও পড়ুন: কাঁথেই থাকেন কালী! 400 বছরের পরম্পরা মেনে মায়ের পুজো; জানুন বিশেষত্ব

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.