সুন্দরবন (দক্ষিণ 24 পরগনা), 5 মে: আবারও বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা । আবারও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ । শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শনিবার থেকে ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোকায় পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ যার অভিমুখ হতে পারে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে । তা সত্ত্বেও দক্ষিণ 24 পরগনার সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন ৷
শুক্রবার সুন্দরবন ও সাগরের বিভিন্ন এলাকার নদী বাঁধ সরজমিনে খতিয়ে দেখেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা । তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার৷ ইতিমধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তিনি আরও জানান, এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্লক প্রশাসনকেও প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সুন্দরবনের যে সব জায়গায় মাটির নদী বাঁধ রয়েছে, সেই সব জায়গায় অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেই মাটির নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছে সেচ দফতর ৷ উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যদি আসে, তাহলে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে ইতিমধ্যে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠকও সেরে নিয়েছেন ।
সাগর ব্লকের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘূর্ণিঝড় মোকার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ব্লক প্রশাসন । ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মজুত রাখা হচ্ছে শুকনো খাবারের । এলাকায় বিভিন্ন ত্রাণ শিবির পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাজ ও শুরু করে দেওয়া হয়েছে ।’’ সাগরের এক বাসিন্দা কৃপাসিন্ধু দাস বলেন, ‘‘সাগরের বিভিন্ন এলাকায় এখনও পর্যন্ত রয়েছে মাটির নদী বাঁধ । গত বেশ কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের মনে হচ্ছে এই মাটির নদী বাঁধ আমাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না ৷’’
তাঁর আশঙ্কা, ‘‘আবারও আমাদের আশ্রয় নিতে হবে ত্রাণ শিবিরে । বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে বহু জমি এবার বসতভিটেটুকু রয়েছে । মনে হয় এই ঘূর্ণিঝড়ের সেটাও হারাতে হবে আমাদের ।’’
আরও পড়ুন: মোকার অভিমুখ স্পষ্ট নয়, ঝড়-বৃষ্টির ভ্রূকুটির মাঝেই ফের তাপমাত্রা বাড়ার ইঙ্গিত