কুলপি (দক্ষিণ 24 পরগনা), 25 ফেব্রুয়ারি: ঘন কুয়াশার কারণে হুগলি নদীতে দু'টি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষ আর তার জেরে হুগলি নদীতে ডুবল বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ (Bangladeshi Vessel Capsized)। বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজটি খিদিরপুর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ৷ সেই সময় হুগলি নদীর কুলপির পহেলা নম্বরের কাছে অপরদিক থেকে আসা একটি জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। তারপরই জাহাজের পাঠাতন ফুটো হয়ে জল ঢুকতে থাকে। তবে জাহাজ ডুবলেও নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজের 10 জন সওয়ারিকে ৷
জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিক-সহ অন্যান্যরা প্রাণভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন। নাবিক-সহ অন্যান্য কর্মীদের চিৎকারে হুগলি নদীতে থাকা মৎস্যজীবীরা উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসেন। উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে এগিয়ে যায় কুলপি এলাকার মৎস্যজীবীদের ছোট ছোট নৌকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কুলপি থানার পুলিশও। মৎস্যজীবীদের সহযোগিতায় বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ থেকে সকলকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি জাহাজটির নাম এম.ভি রাফসান হাবিব-3 ৷ শনিবার ভোরবেলা কলকাতার খিদিরপুর থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ঘন কুয়াশা ও দৃশ্যমান্যতার অভাবে হুগলি নদীতে অপরদিক থেকে আসা একটি জাহাজ ওই বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজটিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় পাঠাতন ফুটো হয়ে যাওয়ায় বিস্তর জল ঢুকতে থাকে জাহাজটিতে। পণ্যভরতি থাকায় দ্রুত জাহাজটি হুগলি নদীতে ডুবতে শুরু করে। অপরটি খালি থাকার কারণে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল থেকে জাহাজ নিয়ে পালিয়ে যান নাবিক। কী কারণে এমন দুর্ঘটনা, কেনই বা চম্পট দিল অন্য জাহাজ ? জানতে তদন্ত শুরু করেছে কুলপি থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: হুগলি নদীতে আটকে গেল বাংলাদেশি জাহাজ
পাশাপাশি পলাতক জাহাজের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জাহাজের এক কর্মী বলেন, "শনিবার কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে হুগলি নদীর পথ ধরে নামখানা হয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল এই জাহাজটির। হঠাৎ করে কুলপির কাছে পহেলা নম্বর এলাকায় উলটোদিক থেকে আসা একটি জাহাজ ধাক্কা মারে জাহাজটিকে। ঘাতক জাহাজটি খালি থাকার কারণে পালিয়ে যান নাবিক। এরপরই জল ঢুকতে থাকে ৷ আমরা বেশ কয়েকজন ভয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে দিয়েছিলাম। সেই সময় হুগলি নদীতে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবীরা মাছ ধরছিলেন, চিৎকার শুনে দ্রুত এসে আমাদেরকে উদ্ধার করেন।" কুলপি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে ডুবন্ত জাহাজটিকে হুগলি নদী থেকে তোলার জন্য অপর দু'টি জাহাজ নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।