জয়নগর, 13 সেপ্টেম্বর: সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছে । প্রাণ বাঁচাতে অনেক সময়েই এই সমস্ত সাপকে মেরে ফেলতে উদ্যোগ নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ কখন কখনও সাপের কামড়ে প্রাণও যায় এলাকাবাসীর ৷ তাই এলাকাবাসীকে সচেতন করতেই এক বিশেষ সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনার সরবেড়িয়া টিএস সনাতন হাইস্কুলে ৷ ক্যানিং যুক্তিবাদী সংস্থার পক্ষ থেকে এই সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল ৷
মূলত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষকে সাপ সম্পর্কিত বিষয়ে সম্যক ধারণা দিতে এদিনের এই সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিলেন জয়নগর উত্তরচক্রের স্কুল পরিদর্শক কৃষেন্দু ঘোষ । এই শিবিরে জয়নগর 1নম্বর ব্লকের 56টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও 17টি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করে ছিলেন ৷ এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন উওরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: তাপস ভট্টাচার্য, বিদ্যাসাগর কলেজের প্রফেসর ড: নীলমেন্দু নাথ, ক্যানিং যুক্তিবাদী সংস্থার বিজন ভট্টাচার্য, নিরঞ্জন সরদার, জয়নগর পূর্বচক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক কৃষেন্দু ঘোষ-সহ আরও অনেকে ।
আরও পড়ুন: কামড়ের পর জারবন্দি সাপকে নিয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তি
এদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কালাচ সাপ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য তুলে ধরা হয় । এই সাপ কামড়ানোর লক্ষণ কি, কামড়ানোর পর কি করণীয়, কোথায় গিয়ে চিকিৎসা করালে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে সে কিছুও তুলে ধরা হয়েছে এই সচেতনতা শিবিরে ৷ এছাড়া চন্দ্রবোড়া-সহ একাধিক সাপের কামড়ের লক্ষণ সম্পর্কেও সচেতন করা হয় ৷ বিষহীন ও বিষধর সাপের কামড়ের লক্ষণ কীভাবে বোঝা যায় তাও তুলে ধরা হয় এই সচেতনতা শিবিরে । এদিন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে সাপ সম্পর্কিত অনেক কিছু জানতে পেরে খুশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা । আগামিদিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় সাপ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক শিবিরের কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও জানালেন তাঁরা ।