ETV Bharat / state

Durga Puja 2022: করোনার আতঙ্ক পিছনে ফেলে আশায় বুক বাঁধছে জয়নগরের ঢাকিপাড়া - দুর্গাপুজো

পুজোর (Durga Puja 2022) আগের ব্যস্ততা ফিরেছে দক্ষিণ 24 পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) ঢাকিপাড়ায় (Dhaki Para) ৷ অতিমারির আতঙ্ক পিছনে ফেলে বাজছে ঢাকের বাদ্যি !

artists of Jaynagar Dhaki Para preparing themselves for Durga Puja 2022
Durga Puja 2022: করোনার আতঙ্ক পিছনে ফেলে আশায় বুক বাঁধছে জয়নগরের ঢাকিপাড়া
author img

By

Published : Sep 10, 2022, 8:22 PM IST

জয়নগর, 10 সেপ্টেম্বর: নীল আকাশে শরতের সাদা মেঘের 'পেঁজা তুলো'র ভেলা ! বাতাসে শিউলি, ছাতিমের মন ভালো করা গন্ধ ৷ পুজোর আমেজে (Durga Puja 2022) চাঙ্গা আপামর বাঙালি ৷ এতটা না হলেও খুশি দক্ষিণ 24 পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) ঢাকিপাড়ার (Dhaki Para) বাসিন্দারাও ৷ করোনার আগে পর্যন্ত প্রতি বছর পুজোর আগে ব্যস্ততা বাড়ত এই পাড়ার বাসিন্দাদের ৷ পুজোর বরাত নিয়ে কলকাতায় যেতেন এখানকার ঢাকিরা ৷ তাতে দু'টো বাড়তি টাকা ঘরে আসত ৷ তা দিয়ে কদিনের জন্য হলেও সংসারের টানাটানি কিছুটা কমত ৷ কিন্তু, গত দু'বছর সেই অবলম্বনটুকুও কেড়ে নিয়েছিল ভয়াল অতিমারি ৷ তবে, এবার হয়তো কপাল ফিরবে ৷ তাই, আশায় বুক বাঁধছেন বংশী, মুরারীরা ৷

সাংবাদিক পরিচয় পেতেই ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির কাছে এসে 'গল্পের' ঝাঁপি খুলে বসেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ বংশী দাস, মুরারী দাস তাঁদেরই প্রতিনিধি ৷ কথায় কথায় জানালেন, সারা বছর চাষবাস করেন তাঁরা ৷ তবে, বড় কৃষক বলতে যা বোঝায়, তাঁরা তা নন ৷ আদতে চাষের কাজে যেটুকু উপার্জন হয়, তাতে সারা বছরের খোরাকি জোটানোই বড় চ্য়ালেঞ্জ ৷ তবে, বাপ-ঠাকুর্দার কাছ থেকে ঢাক বানাতে এবং বাজাতে শিখেছিলেন ৷ পুজোর মরশুম শুরু হলে কলকাতা থেকে ডাক আসে ৷ পুজোমণ্ডপে দু'বেলার খাবার জুটে যায় ৷ আর মেলে ঢাক বাজানোর পারিশ্রমিক ৷ এমনকী, পুজো শেষে বাবুদের বাড়ি থেকে পুরনো পোশাক, চাদর এসবও পাওয়া যায় ৷ সব মিলিয়ে আমদানি মন্দ হয় না ! আসলে হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর কাছে এই পাওয়াটুকুই যেন যকের ধন !

আশায় বুক বাঁধছে জয়নগরের ঢাকিপাড়া

আরও পড়ুন: পুজোর আগে শঙ্কায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা, নজরে রবিবাসরীয় বৈঠক

কিন্তু, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর আমদানির সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ কপাল পুড়েছিল জয়নগরের এই ঢাকিদের ৷ তবে, এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ৷ শহরের পুজো কমিটিগুলি গত দু'বছরের তুলনায় পুজোর বাজেট অনেকটাই বাড়িয়েছে ৷ তাই আবারও ব্যস্ততা ফিরেছে এখানকার ঢাকিপাড়ায় ৷ ধুলো পড়া ঢাক ঝেড়ে, মুছে চলছে শেষ মুহূর্তের মেরামতি ৷ ঢাক বাজিয়ে নিয়মিত অভ্য়াসও করছেন পোড় খাওয়া ঢাকিরা ৷

সাংবাদিক মানুষটিকে সামনে পেয়ে বংশী, মুরারীর মতো আরও অনেকেরই আর্তি, "সরকারকে বলুন না একটু ! আমাদের যেন একটু দেখে !" আসলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে ঢাকিপাড়া ৷ এই পাড়া জানে, পুজোর বর্ধিত বাজেটে সেলেব্রিটি অতিথিকে দেওয়া চেকের অঙ্ক বাড়লেও তাদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের দাম বাড়াতে বড় কষ্ট হয় শহুরে উদ্যোক্তাদের ৷ তাই হয়তো সরকারই শেষ ভরসা ৷ তবে, সেখানেও যে রাতারাতি কোনও বদল আসবে না, তাও ভালোই বোঝেন বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য আঁকড়ে থাকা এই শিল্পীরা ৷

জয়নগর, 10 সেপ্টেম্বর: নীল আকাশে শরতের সাদা মেঘের 'পেঁজা তুলো'র ভেলা ! বাতাসে শিউলি, ছাতিমের মন ভালো করা গন্ধ ৷ পুজোর আমেজে (Durga Puja 2022) চাঙ্গা আপামর বাঙালি ৷ এতটা না হলেও খুশি দক্ষিণ 24 পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) ঢাকিপাড়ার (Dhaki Para) বাসিন্দারাও ৷ করোনার আগে পর্যন্ত প্রতি বছর পুজোর আগে ব্যস্ততা বাড়ত এই পাড়ার বাসিন্দাদের ৷ পুজোর বরাত নিয়ে কলকাতায় যেতেন এখানকার ঢাকিরা ৷ তাতে দু'টো বাড়তি টাকা ঘরে আসত ৷ তা দিয়ে কদিনের জন্য হলেও সংসারের টানাটানি কিছুটা কমত ৷ কিন্তু, গত দু'বছর সেই অবলম্বনটুকুও কেড়ে নিয়েছিল ভয়াল অতিমারি ৷ তবে, এবার হয়তো কপাল ফিরবে ৷ তাই, আশায় বুক বাঁধছেন বংশী, মুরারীরা ৷

সাংবাদিক পরিচয় পেতেই ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির কাছে এসে 'গল্পের' ঝাঁপি খুলে বসেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ বংশী দাস, মুরারী দাস তাঁদেরই প্রতিনিধি ৷ কথায় কথায় জানালেন, সারা বছর চাষবাস করেন তাঁরা ৷ তবে, বড় কৃষক বলতে যা বোঝায়, তাঁরা তা নন ৷ আদতে চাষের কাজে যেটুকু উপার্জন হয়, তাতে সারা বছরের খোরাকি জোটানোই বড় চ্য়ালেঞ্জ ৷ তবে, বাপ-ঠাকুর্দার কাছ থেকে ঢাক বানাতে এবং বাজাতে শিখেছিলেন ৷ পুজোর মরশুম শুরু হলে কলকাতা থেকে ডাক আসে ৷ পুজোমণ্ডপে দু'বেলার খাবার জুটে যায় ৷ আর মেলে ঢাক বাজানোর পারিশ্রমিক ৷ এমনকী, পুজো শেষে বাবুদের বাড়ি থেকে পুরনো পোশাক, চাদর এসবও পাওয়া যায় ৷ সব মিলিয়ে আমদানি মন্দ হয় না ! আসলে হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর কাছে এই পাওয়াটুকুই যেন যকের ধন !

আশায় বুক বাঁধছে জয়নগরের ঢাকিপাড়া

আরও পড়ুন: পুজোর আগে শঙ্কায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা, নজরে রবিবাসরীয় বৈঠক

কিন্তু, করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর আমদানির সেই রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ৷ কপাল পুড়েছিল জয়নগরের এই ঢাকিদের ৷ তবে, এবারের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ৷ শহরের পুজো কমিটিগুলি গত দু'বছরের তুলনায় পুজোর বাজেট অনেকটাই বাড়িয়েছে ৷ তাই আবারও ব্যস্ততা ফিরেছে এখানকার ঢাকিপাড়ায় ৷ ধুলো পড়া ঢাক ঝেড়ে, মুছে চলছে শেষ মুহূর্তের মেরামতি ৷ ঢাক বাজিয়ে নিয়মিত অভ্য়াসও করছেন পোড় খাওয়া ঢাকিরা ৷

সাংবাদিক মানুষটিকে সামনে পেয়ে বংশী, মুরারীর মতো আরও অনেকেরই আর্তি, "সরকারকে বলুন না একটু ! আমাদের যেন একটু দেখে !" আসলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছে ঢাকিপাড়া ৷ এই পাড়া জানে, পুজোর বর্ধিত বাজেটে সেলেব্রিটি অতিথিকে দেওয়া চেকের অঙ্ক বাড়লেও তাদের ঘাম ঝরানো পরিশ্রমের দাম বাড়াতে বড় কষ্ট হয় শহুরে উদ্যোক্তাদের ৷ তাই হয়তো সরকারই শেষ ভরসা ৷ তবে, সেখানেও যে রাতারাতি কোনও বদল আসবে না, তাও ভালোই বোঝেন বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য আঁকড়ে থাকা এই শিল্পীরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.