ক্যানিং, 21 অক্টোবর: মুমূর্ষু রোগীর জন্য রক্তদান (Blood Donation) করলেন হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার (Additional Super) ৷ তাঁর এবং তাঁর সহকর্মীদের ঐকান্তিক চেষ্টায় প্রাণ বাঁচল 19 বছরের এক তরুণীর ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের (Canning Sub Divisional Hospital) ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় খুশি রোগী ও তাঁর আত্মীয়রা ৷
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই তরুণীর নাম রেহিনা সর্দার ৷ তাঁর বাড়ি বারুইপুর থানার বেদবেরিয়া এলাকায় ৷ ওই তরুণীর দাবি, কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছ থেকে গর্ভনিরোধক ওষুধ খান তিনি ৷ তারপর থেকেই তাঁর রক্তপাত শুরু হয় ৷ এর জেরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রেহিনা ৷ রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব মহিলার, 'মানবিক' রেল পুলিশের সহায়তায় ঘরে ফিরল সুস্থ মা-শিশু
এরপর হাসপাতালে রেখেই রেহিনার চিকিৎসা চলে ৷ কিন্তু মুমূর্ষু ওই তরুণীকে বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন ছিল রক্তের ৷ কিন্তু, সেই মুহূর্তে ক্যানিং ব্লাড ব্যাংকে এ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত ছিল না ৷ রক্তের খোঁজে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাংকে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকেন রেহিনার পরিবারের সদস্যরা ৷ কিন্তু, তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি ৷ শেষমেশ এগিয়ে আসেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার শুভ্রনীল ঘোষ ৷ তাঁর রক্তের গ্রুপও এ পজিটিভ ৷ তিনিই ওই মহিলাকে নিজের রক্ত দান করেন ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সব বন্দোবস্ত করে দেয় ৷ রক্ত দেওয়ার পরই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন রেহিনা ৷
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার অপূর্বলাল সরকার এই প্রসঙ্গে জানান, রেহিনাকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, তখন তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন ছিল ৷ তাঁকে তৎক্ষণাৎ রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ছিল ৷ কিন্তু রক্তের জোগান ছিল না ৷ কোনও ডোনারও পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিজেই রক্ত দিয়ে রোগীকে ভালো করে তোলেন ৷