আনন্দপুর, 29 অক্টোবর : প্রতিবারের মতো এবারও বোন বাড়ি আসবে ফোঁটা দিতে ৷ সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন পলাশ ৷ কিন্তু এবার আর বোন আসেননি ৷ এসেছে তাঁর মৃত্যুর খবর ৷
মৃতের নাম পায়েল শিকারি (30) ৷ আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ সাত বছর আগে প্রদীপ শিকারির সঙ্গে বিয়ে করেন ৷ প্রদীপ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ৷ তিনি আগে থেকেই বিবাহিত ৷ তবে সেই বিয়ে গোপন করে পায়েলকে বিয়ে করেন তিনি ৷ তাঁদের পাঁচ বছরের একজন ছেলে ও তিন বছরের একজন মেয়ে রয়েছে ৷
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পায়েলের উপর শুরু হয় অত্যাচার ৷ প্রদীপ ছাড়াও তাঁর আগের পক্ষের বউ টুম্পা ও তাঁর ছেলেরাও পায়েলের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ ৷ পায়েলের মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে মেরে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছে ৷ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে ৷
পায়েলের বাবার বাড়ির তরফে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ মূল অভিযুক্ত প্রদীপ ও তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ আজ তাঁদের বারুইপুর আদালতে তোলা হবে ৷