কাকদ্বীপ, 29 জুন: ভারতীয় জলসীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করে ট্রলার ৷ এই অভিযোগে বাংলাদেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক দক্ষিণ 24 পরগনার 8টি ট্রলার-সহ 135 জন মৎস্যজীবী (8 Indian trawlers and 135 fishermen detained in Bangladesh)।
চলতি বছরের জুন মাস থেকেই মাছ ধরার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে । ভোজনরসিক বাঙালির রসনা তৃপ্তির জন্য গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার কয়েক হাজার ট্রলার । ইলিশের মরশুমের শুরুতে একের পর এক ট্রলার দুর্ঘটনায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মৎস্যজীবীরা । এবার ভারতীয় জলসীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার অভিযোগে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে আটক ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ।
মাছ ধরার মরশুম চলাকালীন দুই দেশের জল সীমানা অতিক্রম করে অন্য দেশে ঢুকে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয় । মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, ভারতবর্ষে চলতি বছরের জুন মাসে মাছ ধরার মরশুম শুরু হলেও, এখনও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে । প্রতিবছর 2 মে থেকে 23 জুলাই পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ মৎস্য দফতর ।
আরও পড়ুন: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মৎস্যজীবীর
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের(Kakdwip Fisherman Welfare Association) সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "বুধবার সকালে কয়েকজন মৎস্যজীবী ফোনের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে । তারা জানান, ভারতীয় জল সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার কারণে বাগেরহাট জেলায় মোগলাপোট থানায় 135 জন মৎসজীবী-সহ 8টি ট্রলার আটক করে রেখেছে ওই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী । তাঁরা সকলে দক্ষিণ 24 পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা । কীভাবে মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করল, তার তদন্ত করা শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের ভারতে ফেরানোর জন্য তৎপরতা চলছে । পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে মৎস্যজীবীদের ফেরানোর জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে জেলা মৎস্য দফতর ।"