মেখলিগঞ্জ, 28 জুন: দু-তিন বছর ধরে অসুস্থ, চিকিৎসার টাকাও নেই ৷ তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা ৷ তার উপর স্বামী এবং ছেলে ভিন রাজ্যে কাজ করে ৷ সেখানে বিয়ে করে নতুন সংসারও পেতেছে স্বামী ৷ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না-পেরে আত্মঘাতী হলেন মহিলা ৷ স্থানীয়দের অনুমান তেমনই ৷
বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের 191 জামালদহ গ্রামে। এখানকার সুটুঙ্গা নদীর তীরে একটি বাঁশঝাড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। নাম পূর্ণিমা বর্মন (47) ৷ বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুলন্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে দেখতে পান । খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেহটি নামায় ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় তিন বছর ধরে একাধিক রোগে ভুগছেন ওই মহিলা ৷ বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখিয়েও সুস্থ হয়ে উঠছিলেন না তিনি । টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওষুধ ও ডাক্তার দেখাতে পারছিলেন না । যার ফলে দিনের পর দিন অসুস্থতা ও শারীরিক যন্ত্রণা বেড়েই যাচ্ছিল । এরপর তিনি মৃত্যুর পথ বেছে নেন । এমনটাই কিন্তু পারিবারের সদস্যরা দাবি করছেন ।
মৃত মহিলার আত্মীয় দীপক বর্মন জানান, কয়েক বছর ধরে রোগে ভুগছেন তাঁর কাকিমা ৷ বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখানো হলেও সুস্থ হচ্ছিলেন না ৷ তার কাকা অর্থাৎ মৃত মহিলার স্বামী ও ছেলে ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে । কাকা সেখানে বিয়ে করে সংসার করছেন ৷ এদিকে আর্থিক সমস্যা ছিল । টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ সুস্থ হয়ে উঠতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তার কাকিমা । সেই থেকেই এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে অনুমান ৷ একই দাবি করছেন প্রতিবেশী অজয় রায় ও বিনোদ রায়রা ।
আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে খুন, 2 অভিযুক্তের ফাঁসি
খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় । কী কারণে আত্মঘাতী হলেন ওই মহিলা তা তদন্ত করছে পুলিশ । এই বিষয়ে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, ওই মহিলা অসুস্থ ছিলেন । তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে । তদন্ত চলছে ৷