কোচবিহার, 15 মে: বৌভাতের পরদিন বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে সদ্য বিবাহিত যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার মেখলিগঞ্জ ব্লকের 165 উছলপুকুরি গ্রামের খালেরবাড়ি এলাকার ঘটনা। আহত যুবকের নাম নীবাস বর্মন (34)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মেখলিগঞ্জ থানার উছলপুকুরি গ্রামের বাসিন্দা নীবাস বর্মনের বিয়ে হয়েছিল দেওকির হাটের বাসিন্দা। পরেরদিন বিয়ে ছিল তাঁর দাদার ৷ বাড়িতে ভর্তি আত্মীয়স্বজন ৷ রবিবার ছিল বৌভাত। কিন্তু বৌভাতের পরদিনই সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন নীবাস ৷ পরিবারের সদস্যরা চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন ৷ বেলা 12টা নাগাদ এক প্রতিবেশি এসে খবর দেন, নীবাসকে দেখা গিয়েছে জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় ৷ এই কথা শুনে জঙ্গলের দিকে ছুটে যান পরিবারের লোকেরা ৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, জঙ্গলের মধ্যে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন নীবাস ৷ গলায় আঘাতের চিহ্ন ৷ সেখান থেকেই প্রচন্ড রক্তপাত হচ্ছে ৷
সঙ্গে সঙ্গে আহত নীবাসকে জলপাইগুড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ আপাতত সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পরিবারবর্গও ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে ভিডিয়ো কল করে আত্মঘাতী তরুণ
ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন মেখলিগঞ্জ থানার ওসি রাহুল তালুকদার-সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। এটা ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুনের চেষ্টা নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা এনিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা বলেন, "বৌভাতের পরদিন আজ ওই যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশের জঙ্গল উদ্ধার হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে। জখম যুবকের আত্মীয় বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, গতকাল বৌভাত হয়েছে। এরপর সোমবার দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় জঙ্গলে পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবক সুস্থ আছেন। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা নীবাসকে জিজ্ঞাসাবাদ পরেই জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: 'এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়', উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের গাফিলতি প্রসঙ্গে বললেন মৃত শিশুর মা