নয়াদিল্লি, 3 অক্টোবর: অনশন ভেঙেছেন সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক এবং তাঁর সঙ্গীরা ৷ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ ৷ সাংবিধানিক-সহ বেশ কয়েকটি দাবিদাওয়া নিয়ে দিল্লি চলো পদযাত্রা করে রাজধানীতে এসে পৌঁছন ওয়াংচুক এবং অন্যরা ৷ বুধবার তাঁরা তাঁদের দাবিদাওয়া সংবলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেন সরকারের কাছে ৷ খুব শীঘ্রই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁদের বৈঠকের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷
এদিন বিকেলে লাদাখের পরিবেশকর্মী ওয়াংচুক রাজঘাটে গিয়ে মহাত্মা গান্ধির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ৷ তিনি বলেন, "সাংবিধানিক উপায়ে লাদাখকে রক্ষা করার জন্য সরকারকে আমরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছি ৷ যাতে লাদাখের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করা যায় ৷ সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলের আওতায় স্থানীয়রা লাদাখ শাসন করতে পারবে ৷ এলাকার সম্পদ রক্ষা করতে পারার অধিকার পাবে ৷"
তিনি আরও বলেন, "হিমালয়ের স্থানীয়দেরই এই ক্ষমতা দেওয়া উচিত, কারণ তারাই পাহাড়ের সম্পদ সংরক্ষণ সবচেয়ে ভালো ভাবে করতে পারবে ৷ আগামী দিনে আমরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব ৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আমাদের এই আশ্বাস দিয়েছে ৷"
লাদাখ নিয়ে তাঁদের দাবি, "আমরা লাদাখে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন ক্ষমতা চেয়েছি ৷ সংবিধানের ষষ্ঠ তপশিলে তা আছে ৷ আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে পারব ৷ সেই তারিখ কয়েকদিনের মধ্যেই আমাদের জানানো হবে ৷"
30 সেপ্টেম্বর রাতে দিল্লি সীমানায় পৌঁছয় লাদাখবাসীর 'দিল্লি চলো পদযাত্রা' ৷ এদিন গভীর রাতে লাদাখের সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক এবং তাঁর সহযাত্রীদের দিল্লি সীমানায় আটক করে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ ৷ এরপর দিন থানাতেই আমরণ অনশন শুরু করে সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক এবং তাঁর সঙ্গীরা ৷ লাদাখের পরিবেশকর্মী সোনমের সঙ্গে প্রায় 120 জন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন ৷ তাঁদের সবাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ এই ঘটনায় লেহতে বহু মানুষ প্রতিবাদে নামে ৷ সোনম-সহ লাদাখের অন্য বাসিন্দাদের আটক করার ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে ৷