কোচবিহার, 23 ফেব্রুয়ারি: মিড ডে মিলের রান্নায় পাওয়া গেল পোকা মাকড় ৷ পড়ুয়াদের পচা ডিমও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ আর সেই খাবার খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ল এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র (Student falls sick after eating mid day meal) । অসুস্থ পড়ুয়ার নাম সাগর রায় (8) ৷ তাকে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় মেখলিগঞ্জের জামালদহ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছাটধুলিয়া রামসুন্দর এসসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । এই ঘটনা ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা । তারা এর প্রতিবাদের বিক্ষোভ দেখান স্কুল চত্বরে । স্কুলের শিক্ষকদের একটি ক্লাস ঘরে আটকে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা । ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । খবর পেয়ে ছুটে আসে মেখলিগঞ্জের বিডিও অরুণকুমার সামন্ত ৷ ঘটনাস্থলে আসে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশও ।
জানা গিয়েছে, বুধবার মিড ডে মিলের রান্না খাওয়ার পরেই ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে । অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মিড মিলের রান্নায় পোকা দেখা গিয়েছে, পচা ডিমও ছাত্রদের খাবারে দেওয়া হচ্ছে । একজন ছাত্র সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায় ৷ তাই তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন । ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা শিক্ষকদের স্কুল ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ ও বিডিও অরুণকুমার সামন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন । ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শশাঙ্কশেখর রায় এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি । বরং, ক্যামেরা দেখে কার্যত লুকিয়ে পড়েন তিনি । বিডিও অরুণকুমার সামন্ত জানান, পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
এই বিষয়ে স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দা সম্পা সরকার অভিযোগ করেন, মিড ডে মিলের রান্নায় ভাতে পোকা পাওয়া গিয়েছে, ডিম পচা । একজন ছাত্র রান্না খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায় । এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পড়ুয়াদের ক্লাস না করিয়ে মোবাইলে ব্যস্ত থাকেন । এমন অভিযোগও তোলেন তিনি । স্থানীয় বাসিন্দা প্রাণেশ দাস জানান, স্কুলে পঠনপাঠন ঠিকমত হচ্ছে না । মিড ডে মিলের রান্নায় সমস্যার অনেক দিন ধরে । খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । একজন ছাত্র রান্না খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায় । এইসব বিষয়ে শিক্ষকদের স্কুলে ঘরে আটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান ।
আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলে বাসি মাংস-ভাত, কুলতলিতে অসুস্থ শতাধিক পড়ুয়া