ETV Bharat / state

পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দারা

সাবেক ভারতের ছিটমহল ছেড়ে দেশের মূল ভূ-ভাগে এসেছিল সুমন ৷ শুনেছিল এ-দেশে নাকি ভালো পড়াশোনার সুযোগ আছে ৷ ভারতে আসার পর নতুন কলেজে ভরতিও হয়েছিল সে ৷ কিন্তু হেঁশেল যে বাড়ন্ত ৷ কিছুদিনের মধ্যেই শিকেয় উঠল কলেজের ব্যাগ ৷ রুজির টানে আজ সে বেঙ্গালুরুতে ৷

Enclaves
সেটলমেন্ট ক্যাম্প
author img

By

Published : Jan 3, 2020, 11:53 PM IST

Updated : Jan 5, 2020, 2:41 PM IST

মেখলিগঞ্জ, 4 জানুয়ারি : অনেক আশা নিয়ে সীমান্ত পার করে ভারতের মূল ভূ-ভাগে এসেছিলেন মিজানুর৷ এসে নাগরিকত্ব তো পেয়েছেন ৷ তবে পাননি জমি ৷ হয়নি অন্নসংস্থান ৷ ছিটমহল বিনিময়ের পর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে চার বছর ৷ কিন্তু এখনও মাথার উপর ছাদ জোটেনি ৷ সীমানা পেরিয়ে আসার পর থেকে তাঁর ঠাঁই হয়েছে সেটলমেন্ট ক্যাম্পে ৷

2015 সালের 31 জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয় ৷ ভারতের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক বাংলাদেশি ছিটমহলগুলি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে যায় । একইভাবে বাংলাদেশের ভিতরে থাকা ভারতের ছিটমহলগুলিও যুক্ত হয় বাংলাদেশের ভূ-ভাগের সঙ্গে ৷ সেই সময়েই উন্নত জীবনের আশায় সীমান্ত পার করে মিজানুরের মতো এ-দেশে এসেছিলেন সাবেক ভারতীয় ছিটমহলের প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা ৷ প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল 'ফ্ল্যাটবাড়ি' দেওয়ার ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের ঠিকানা সেই সেটলমেন্ট ক্যাম্প ৷

কেমন আছেন মেখলিগঞ্জ সেটলমেন্ট ক্যাম্পের বাসিন্দারা

মিজানুরের সঙ্গেই সীমানা পেরিয়ে এসেছিল সুমন অধিকারী ৷ শুনেছিল এ-দেশে নাকি ভালো পড়াশোনার সুযোগ আছে ৷ ভারতে আসার পর নতুন কলেজে ভরতিও হয়েছিল সে ৷ কিন্তু হেঁশেল যে বাড়ন্ত ৷ কিছুদিনের মধ্যেই শিকেয় উঠল কলেজের ব্যাগ ৷ রুজির টানে আজ সে বেঙ্গালুরুতে ৷

রেশনের চাল, ডাল, তেল, নুন ও কেরোসিন তো পান তাঁরা ৷ তবে বাকি শাক-সবজি কিংবা মাছ খেতে গেলেই টান পড়ে পকেটে ৷ এছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই ৷ যে আশা নিয়ে এসেছিলেন তা আজ অনেকটাই ম্লান ৷ রুজির টানে সুমনের মতো অনেকই পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে ৷ দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কিংবা হরিয়ানায় ৷

সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বাসিন্দারা বলছেন, 100 দিনের কাজ ঠিক মতো মেলে না । সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বৃদ্ধ নজরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সরকারি ভাবে যা মেলে তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে । তাই ছেলেকে 6 মাস হল দিল্লিতে পাঠিয়েছি ।"

যদিও দিনহাটা মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ বলছেন, "ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । যুবক-যুবতীদের উৎকর্ষ বাংলার মধ্যে দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ 100 দিনের কাজের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ।" কিন্তু তার মাঝেও মেখলিগঞ্জ সেটলমেন্ট ক্যাম্পের বাস্তব ছবিটা কিন্তু অন্য কথাই বলছে ৷

মেখলিগঞ্জ, 4 জানুয়ারি : অনেক আশা নিয়ে সীমান্ত পার করে ভারতের মূল ভূ-ভাগে এসেছিলেন মিজানুর৷ এসে নাগরিকত্ব তো পেয়েছেন ৷ তবে পাননি জমি ৷ হয়নি অন্নসংস্থান ৷ ছিটমহল বিনিময়ের পর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে চার বছর ৷ কিন্তু এখনও মাথার উপর ছাদ জোটেনি ৷ সীমানা পেরিয়ে আসার পর থেকে তাঁর ঠাঁই হয়েছে সেটলমেন্ট ক্যাম্পে ৷

2015 সালের 31 জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয় ৷ ভারতের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক বাংলাদেশি ছিটমহলগুলি ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে যায় । একইভাবে বাংলাদেশের ভিতরে থাকা ভারতের ছিটমহলগুলিও যুক্ত হয় বাংলাদেশের ভূ-ভাগের সঙ্গে ৷ সেই সময়েই উন্নত জীবনের আশায় সীমান্ত পার করে মিজানুরের মতো এ-দেশে এসেছিলেন সাবেক ভারতীয় ছিটমহলের প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা ৷ প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল 'ফ্ল্যাটবাড়ি' দেওয়ার ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের ঠিকানা সেই সেটলমেন্ট ক্যাম্প ৷

কেমন আছেন মেখলিগঞ্জ সেটলমেন্ট ক্যাম্পের বাসিন্দারা

মিজানুরের সঙ্গেই সীমানা পেরিয়ে এসেছিল সুমন অধিকারী ৷ শুনেছিল এ-দেশে নাকি ভালো পড়াশোনার সুযোগ আছে ৷ ভারতে আসার পর নতুন কলেজে ভরতিও হয়েছিল সে ৷ কিন্তু হেঁশেল যে বাড়ন্ত ৷ কিছুদিনের মধ্যেই শিকেয় উঠল কলেজের ব্যাগ ৷ রুজির টানে আজ সে বেঙ্গালুরুতে ৷

রেশনের চাল, ডাল, তেল, নুন ও কেরোসিন তো পান তাঁরা ৷ তবে বাকি শাক-সবজি কিংবা মাছ খেতে গেলেই টান পড়ে পকেটে ৷ এছাড়া অন্যান্য খরচ তো আছেই ৷ যে আশা নিয়ে এসেছিলেন তা আজ অনেকটাই ম্লান ৷ রুজির টানে সুমনের মতো অনেকই পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে ৷ দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কিংবা হরিয়ানায় ৷

সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বাসিন্দারা বলছেন, 100 দিনের কাজ ঠিক মতো মেলে না । সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বৃদ্ধ নজরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সরকারি ভাবে যা মেলে তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে । তাই ছেলেকে 6 মাস হল দিল্লিতে পাঠিয়েছি ।"

যদিও দিনহাটা মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ বলছেন, "ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । যুবক-যুবতীদের উৎকর্ষ বাংলার মধ্যে দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ৷ 100 দিনের কাজের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে ।" কিন্তু তার মাঝেও মেখলিগঞ্জ সেটলমেন্ট ক্যাম্পের বাস্তব ছবিটা কিন্তু অন্য কথাই বলছে ৷

Intro:কোচবিহার ঃ ছিটমহল বিনিময়ের ফলে ওপার থেকে আসা সাবেক ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা হলেও কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে সেই সাবেক ছিটের বাসিন্দারা রুটি রুজির টানে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে। ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে যদি নাই খেতে পারি তাহলে কিভাবে চলবে। তাই ভিন রাজ্যে কাজের সন্ধানে সবাই যাচ্ছে।

Body:

গত ২০১৫ সালের ৩১ শে জুলাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় হয়। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক বাংলাদেশি ছিটমহলগুলো ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা সাবেক ভারতীয় ছিটমহল থেকে প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডের এসেছে। বর্তমানে তারা মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি ও দিনহাটা সেটেলমেন্ট ক্যাম্পে রয়েছে। রেশনের মাধ্যমে তাদের চাল, ডাল, তেল, নুন ও কেরোসিন সরবরাহ করা হলেও বাকি শাক- সবজি কিংবা মাছ খেতে হলে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কিনে খেতে হয়। এছাড়া অন্যান্য খরচতো রয়েছে। কিন্তু তাদের কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাসিন্দারা। বাধ্য হয়ে রুটি রুজির টানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন অনেকেই। দিনহাটা সেটেলমেন্ট ক্যাম্পে ৫৮ টি পরিবার রয়েছে। এখান থেকে অন্তত ১৫-২০ টি পরিবার দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর কিংবা হরিয়ানা গিয়েছেন। সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বাসিন্দাদের বক্তব্য, ১০০ দিনের কাজ ঠিকমতো মেলে না। সেটেলমেন্ট ক্যাম্পের বৃদ্ধ নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভাবে যা মেলে তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ছেলেকে ৬ মাস হল দিল্লিতে পাঠিয়েছি। Conclusion: দিনহাটা মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেন, ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান এর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে মধ্য দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যুবক-যুবতীদের উৎকর্ষ বাংলার মধ্যে দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে । # শুভঙ্কর সাহা।।
Last Updated : Jan 5, 2020, 2:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.