কোচবিহার, 3 মে : তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে মৃত্যু হল 19 বছর বয়সি এক যুবকের ৷ তার নাম মানিক মৈত্র । আজ সকালে শীতলকুচি ব্লকের শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বেশ্বর জয়দুয়ার গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া ওই এলাকায়। বিজেপির দাবি, মৃত যুবক তাঁদের কর্মী ৷
ভোট গ্রহণের দিন থেকে উত্তপ্ত শীতলকুচি ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্য়ু হয় চার গ্রামবাসীর ৷ তারপর ওই বুথে পুননির্বাচন হয় ৷ ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বিজেপি প্রার্থী বরেনচন্দ্র বর্মণ ১৭ হাজারের বেশি ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়কে পরাজিত করেছেন। আর নির্বাচনে জেতার পর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক ঝামেলা ।
বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনে হেরে গিয়ে তাদের সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বেছে বেছে ভাঙচুর করা হয় ।
আজ সকালে শীতলকুচি বিধানসভার সর্বেশ্বর জয়দুয়ার গ্রামে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় ৷ সেই ঘটনা দেখতে যান স্থানীয় যুবক মানিক মৈত্র। সেসময় তাঁর পেটে গুলি লাগে ৷ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা 'উদ্বেগজনক', ডিজিকে তলব ধনকড়ের
মৃতের কাকা কার্তিক মৈত্র বলেন, "মানিক কোনও রাজনৈতিক দল করতেন না । সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। "
ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুধীরচন্দ্র বর্মন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে বলেন, "মানিক সবসময় আমার সঙ্গে থাকতেন । কিন্তু তৃণমূল বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায় । সেটা দেখতে গেলে গুলিবিদ্ধ হন তিনি ।"
বিজেপির কোচবিহার জেলা আহ্বায়ক অভিজিৎ বর্মন বলেন, "গুলিবিদ্ধ যুবক বিজেপি কর্মী। তৃণমুল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে।" যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷