কোচবিহার, 3 জুলাই: পঞ্চয়াতে নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছে অশান্তির খবর ৷ কয়েকদিন আগেই কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভু দাসকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পর শনিবার তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল কোচবিহার ছাড়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে নিহত শম্ভু দাসের বিরুদ্ধে সেক্স ব়্যাকেট চালানোর অভিযোগ তুললেন কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ ৷
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "খুনের তদন্ত চলাকালীন একটা চাঞ্চল্য বিষয় আমাদের সামনে আসে ৷ শম্ভু দাস যেই সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় একটি মেয়ে সেখানে উপস্থিত ছিল ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে বিষয়টি সামনে এসেছে ৷ প্রায় দুই-আড়াই বছর ধরে ওখানে ওই সেক্স র্যাকেট চলছিল। ওখানে যে সকল ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করত তাদের আলাদা আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ৷ তখনই জানা যায় শম্ভু ও সুজয় এই সেক্স ব়্যাকেট বা মধুচক্র চালাত ৷"
তিনি আরও জানিয়েছেন, এক নাবালিকার বাবা-মা বিষয়টি জানার পর মৃত ব্যক্তি ও গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। পকসো আউনে মামলা রুজু হয়। সেই মতো তদন্তও চলছে। ওই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় ৷ সেখানে নাবালিকা স্বীকার করেছে, তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে এই অত্যাচার চলছে বলে নাবালিকা জবানবন্দিতে জানিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। জানা গিয়েছে, নিহত ব্যক্তি যেখানে থাকত, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের সফরকালে উত্তপ্ত গিতালদহ ! বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম 6
পুলিশের দাবি, নাবালিকাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের পর তাদের সেই গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট দেওয়া হত। প্রসঙ্গত, গত 18 জুন সকালে টিয়াদহ গ্রামে বাড়ির পাশে পাটক্ষেতে বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাসের দেওর শম্ভু দাসের দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর তাঁর পরিবার ও বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শম্ভু দাসের কোচিং সেন্টারে সেক্স র্যাকেট চলতো ৷