কোচবিহার, ১০ মার্চ : কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে দাঁড়াবে না পদাতিক এক্সপ্রেস। রেল কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশিকায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। ভারত -বাংলাদেশ সীমান্তে চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র। তাই সেখানে পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
পদাতিক এক্সপ্রেসে ওঠার জন্য চ্যাংরাবান্ধার বাসিন্দাদের এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের আগে ৮০ কিমি দূরে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে যেতে হত। তাই চ্যাংরাবান্ধা সহ মেখলিগঞ্জ ও বাংলাদেশের রংপুরের বাসিন্দারা ওই এলাকায় পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে দুই বছর ধরে আন্দোলন করেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চাঙ্গারাবান্ধা স্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশের রংপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের এক মুখপাত্র জানান, চ্যাংরাবান্ধায় পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবি লিখিত ভাবে ভারতের রেলমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। প্রতিদিন বহু বাংলাদেশের নাগরিক চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। চ্যাংরাবান্ধা স্টেশনে ট্রেনটির স্টপেজ হলে বাংলাদেশের নাগরিকরা খুব সহজে কলকতায় যেতে পারবেন।
চাঙ্গারাবান্ধা এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুলচাদ বুচ্চা এবং সম্পাদক বিমল ঘোষ জানান, একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে। লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু চ্যাংরাবান্ধায় পদাতিক এক্সপ্রেসের স্টপেজ হচ্ছে না। এরফলে কয়েক লাখ মানুষকে প্রায় ৮০ কিমি দূরে যেতে হবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বেন মেখলিগঞ্জ, চ্যাংরাবান্ধা এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা।
জানা গেছে, চ্যাংরাবান্ধা টাউন রেল টিকিট কাউন্টার থেকে মাসে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের টিকিটের রিজ়ার্ভেশন হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুনির্মল গুহ বলেন, "স্টপেজ না পেলে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।"