দার্জিলিং, 22 জুন : উত্তরবঙ্গকে স্বশাসিত অঞ্চল বা পৃথক রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার যে দাবি উঠেছে বিজেপির একাংশের মধ্যে থেকে, তাকে কেন্দ্র করে ক্রমেই পারদ চড়ছে রাজ্য রাজনীতির ৷ একের পর এক বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরা পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হচ্ছেন ৷ কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও সোজাসুজি বঙ্গভঙ্গকে সমর্থন না করলেও ঘুরিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য়ের স্বীকৃতির দাবিতে ফের সরব জন বারলা
মঙ্গলবার ভোট-পরবর্তী হিংসার বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ৷ দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এবং সংসদের মধ্যে এদিন দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল, উত্তরের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসা ৷ ওই বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ জানান নিশীথ প্রামানিক ৷
বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা এখনও অব্যাহত রয়েছে ৷ প্রচুর মানুষ এখনও ঘরছাড়া ৷ সেই বিষয়টি রাজ্যপালের কাছে জানিয়েছি ৷ ভোট পরবর্তী হিংসার সঙ্গে জড়িত এবং অভিযুক্তদের কারও বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ ৷ কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷ উল্টে তৃণমূলের ক্যাডার এবং পুলিশ এখনও মানুষের উপরে অত্যাচার করে চলেছে ৷’’
আরও পড়ুন : জন বারলার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে কোচবিহারে জমি ফেরত পেতে মরিয়া তৃণমূল
পৃথক রাজ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নিশীথ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত বলেই এখন উত্তরবঙ্গবাসী এই দাবি তুলছেন ৷ উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং লাঞ্ছিত ৷ নির্বাচনের পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমাতৃসুলভ আচরণ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে ৷ আমরা কখনওই ভেদাভেদের পক্ষে নেই ৷ আমরা সবসময় একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই এবং আমরা বরাবরই উন্নয়নের পক্ষে ৷ তবে উত্তরবঙ্গবাসীর আবেগ এখন অন্য দাবি তুলছে ৷ প্রশাসনিক পদে থেকে কিছু না বলতে পারলেও উত্তরবঙ্গবাসীর সেই আবেগকে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে আমাকে ৷’’