কোচবিহার, ২৮ মার্চ : পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই BJP-র সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নিশীথ প্রামাণিকের। গতকাল এই দাবি করেন BJP নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। পাশাপাশি তিনি বলেন, "কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের দলে আলাদা জায়গা রয়েছে। ওকে জেতাতে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতারা সভা করতে কোচবিহারে আসবেন।"
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কোচবিহারে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে ওঠে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের একাধিক কর্মী ভোটে তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। নির্বাচনের ফলে দেখা যায়, পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই দলের যুব সংগঠনের প্রার্থীরা ভালো ফল করেছেন। BJP-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সেই অভিযোগে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নিশীথকে তৃণমূল যুব কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৭ ডিসেম্বর কোচবিহারে অমিত শাহের সভা ছিল। নিশীথ নাকি সেই সভায় মাঠ ভরাতে সহযোগিতা করেছিল। তার জেরেই তাকে বহিষ্কার করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে নিশীথ BJP-তে যোগ দেয়। এরপর BJP-র তরফে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাকে প্রার্থী করা হয়। BJP প্রার্থী হিসাবে তার নাম ঘোষণার পর নিশীথ কোচবিহারে এলেও দিনহাটার ভেটাগুড়িতে নিজের বাড়িতে আসেননি। অবশেষে আজ দুপুরে ভেটাগুড়ির চৌপথি এলাকায় নিজের বাড়িতে আসেন নিশীথ। সঙ্গে ছিলেন BJP নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি সহ দলের বহু নেতা-কর্মী।
কোচবিহার থেকে ভেটাগুড়ি যাওয়ার পথে ঘুঘুমারি, দেওয়ানহাট, ধলুয়াবারি এলাকায় BJP-র কর্মী-সমর্থকরা নিশীথ ও রূপাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানায়। নিশীথ ভেটাগুড়ি ফিরতেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। ফাটানো হয় বাজি। এরপর দলের স্থানীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে রূপা বলেন, "দলে নিশীথের একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই নিশীথের সঙ্গে BJP-র যোগাযোগ ছিল। নিশীথের প্রচারে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কোচবিহারে আসবেন।"
এদিকে গতকাল ঘুঘুমারি, ধলুয়াবাড়ি এলাকায় BJP প্রার্থী নিশীথ ও তার দলের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তা আটকে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। তাদের তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার-১ ব্লক সভাপতি খোকন মিয়া বলেন, "BJP আচরণ বিধি ভেঙে রাস্তা আটকেছিল। মানুষের অসুবিধা হয়েছে।"
তৃণমূলের এই অভিযোগের উত্তরে নিশীথ বলেন, "BJP কর্মী-সমর্থকরা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়েছিলেন। রাস্তা আটকানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন।" অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।