কোচবিহার, 6 মার্চ: বিজেপি-তৃণমূল, কেন্দ্র-রাজ্য, মোদি-মমতা একটা টিম । রাজ্যের আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যকে যে ক্লিনচিট দিয়েছে সেই প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ৷ দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে সোমবার সকালে কোচবিহারে আসেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক (MD Salim)।
এদিন গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রায় দেরি হওয়ার প্রসঙ্গও টানেন মহম্মদ সেলিম ৷ তিনি বলেন, "কোথায় দড়ি টানাটানি ! ইডি অসহায়তা দেখাচ্ছে । রাজ্য পুলিশ যেতে দিচ্ছে না । লালুপ্রসাদ যাদবকে সিবিআই গ্রেফতার করার জন্য মিলিটারি নামিয়েছিল । যদিও মিলিটারি নামুক এটা সমর্থন করি না । সাগরদিঘি নির্বাচনের জন্য 30 ব্যাটেলিয়ন সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে । আসানসোলে কয়লা চুরি আটকানোর জন্য সিআইএসএফ আছে । সীমান্তে গরুপাচার আটকাটে বিএসএফ রয়েছে । এত ফোর্স আছে । ইডি, সিবিআই এই সেন্ট্রাল ফোর্স নিয়ে অপরাধী ধরতে যেতে পারে না?" সেলিমের দাবি, এইভাবে আসলে সময় নষ্ট করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: আদালতের হস্তক্ষেপে কাটল জট, শীঘ্রই দিল্লি যাচ্ছেন কেষ্ট
সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের আরও অভিযোগ, নাগপুরের নির্দেশে ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছিল । যাতে তৃণমূল কিছু ভোট কাটলে বিজেপি বেশকিছু আসনে জিতে যায় । সেটাই হয়েছে । এরাজ্যের মানুষ ত্রিপুরা থেকে শিক্ষা নেবে । সেলিমের কথায়, কোচবিহারে প্রতিদিন গণ্ডগোল হচ্ছে । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ির সামনে তৃণমূলের ধরনা প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, যাঁর বাড়ির সামনে তৃণমূল ধরনায় বসেছিল সে তো আগে তৃণমূলে ছিল । এখন বিজেপিতে গিয়েছে । ফুটো মাস্তান থেকে মন্ত্রী হয়েছেন । কাজেই এসব বলে লাভ নেই । বিরোধীদের হেনস্থা করতে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি ব্যবহার করছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আট বিরোধী দলের নেতৃত্ব তাকেও গুরুত্ব দিতে চাননি সেলিম ৷