কোচবিহার, 29 মে : করোনা আবহে মানবিকতার নজির গড়লেন কোচবিহারের মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা ৷ আতঙ্কে যখন মুখ ফেরালেন মৃতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা, ঠিক তখনই মৃতের শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বিডিও ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মৃত্য়ু হয় রামচন্দ্র বর্মণ নামে এক ব্যক্তির ৷ তিনি মাথাভাঙার শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্য়ুতে এলাকায় করোনার আতঙ্ক ছড়ায় ৷ যদিও রামচন্দ্র আদৌ করোনায় মারা গিয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্য়ু হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ তা সত্ত্বেও রামচন্দ্রের শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেননি এলাকার কোনও মানুষ ৷ করোনার ভয়েই দূরে সরে থাকেন তাঁরা ৷ এতে চরম বিপাকে পড়েন প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ ৷
এই ঘটনা জানার পরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেন স্থানীয় যুবক শাহিন আলম ৷ সেই পোস্ট চোখে পড়ে মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা-র ৷ সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকারের জন্য পদক্ষেপ করেন তিনি ৷ করোনা প্রতিরোধী সমস্ত বন্দোবস্ত করেই রামচন্দ্রের দেহ সৎকার করা হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে ৷
আরও পড়ুন : করোনার টিকাকরণে রাজ্যে তৃতীয় জলপাইগুড়ি
এই প্রসঙ্গে বিডিও সম্বল ঝা বলেন, ‘‘আমি ফেসবুকে জানতে পারি, ওই গ্রামে একজন ব্যক্তির মৃত্য়ু হয়েছে ৷ অথচ করোনার ভয়ে তাঁর দেহ সৎকার করতে কেউ এগিয়ে আসেননি ৷ তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেই দেহ সৎকারের ব্য়বস্থা করা হয় ৷’’
প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘প্রথমে কেউ বাবার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসেননি ৷ পরে প্রশাসন দেহ সৎকারের উদ্যোগ নেয় ৷’’