ETV Bharat / state

করোনার ভয়ে দূরে পরিচিতরা, মৃতের শেষকৃত্যে এগিয়ে এলেন বিডিও

করোনা আবহে মানবিক মুখ প্রশাসনের ৷ করোনার ভয়ে যখন মৃতের প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা দেহ সৎকারে এগিয়ে এলেন না, ঠিক তখনই মৃতের অন্ত্য়েষ্টির বন্দোবস্ত করলেন বিডিও ৷ কোচবিহারের মাথাভাঙার ঘটনা ৷

wb_cib_01_mrito deho satkar karlen bdo_wb10019
করোনার ভয়ে দূরে পরিচিতরা, মৃতের শেষকৃত্য করল ব্লক প্রশাসন
author img

By

Published : May 29, 2021, 12:51 PM IST

কোচবিহার, 29 মে : করোনা আবহে মানবিকতার নজির গড়লেন কোচবিহারের মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা ৷ আতঙ্কে যখন মুখ ফেরালেন মৃতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা, ঠিক তখনই মৃতের শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বিডিও ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মৃত্য়ু হয় রামচন্দ্র বর্মণ নামে এক ব্যক্তির ৷ তিনি মাথাভাঙার শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্য়ুতে এলাকায় করোনার আতঙ্ক ছড়ায় ৷ যদিও রামচন্দ্র আদৌ করোনায় মারা গিয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্য়ু হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ তা সত্ত্বেও রামচন্দ্রের শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেননি এলাকার কোনও মানুষ ৷ করোনার ভয়েই দূরে সরে থাকেন তাঁরা ৷ এতে চরম বিপাকে পড়েন প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ ৷

এই ঘটনা জানার পরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেন স্থানীয় যুবক শাহিন আলম ৷ সেই পোস্ট চোখে পড়ে মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা-র ৷ সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকারের জন্য পদক্ষেপ করেন তিনি ৷ করোনা প্রতিরোধী সমস্ত বন্দোবস্ত করেই রামচন্দ্রের দেহ সৎকার করা হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে ৷

আরও পড়ুন : করোনার টিকাকরণে রাজ্যে তৃতীয় জলপাইগুড়ি

এই প্রসঙ্গে বিডিও সম্বল ঝা বলেন, ‘‘আমি ফেসবুকে জানতে পারি, ওই গ্রামে একজন ব্যক্তির মৃত্য়ু হয়েছে ৷ অথচ করোনার ভয়ে তাঁর দেহ সৎকার করতে কেউ এগিয়ে আসেননি ৷ তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেই দেহ সৎকারের ব্য়বস্থা করা হয় ৷’’

প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘প্রথমে কেউ বাবার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসেননি ৷ পরে প্রশাসন দেহ সৎকারের উদ্যোগ নেয় ৷’’

কোচবিহার, 29 মে : করোনা আবহে মানবিকতার নজির গড়লেন কোচবিহারের মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা ৷ আতঙ্কে যখন মুখ ফেরালেন মৃতের আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা, ঠিক তখনই মৃতের শেষকৃত্যের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বিডিও ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মৃত্য়ু হয় রামচন্দ্র বর্মণ নামে এক ব্যক্তির ৷ তিনি মাথাভাঙার শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৷ তাঁর মৃত্য়ুতে এলাকায় করোনার আতঙ্ক ছড়ায় ৷ যদিও রামচন্দ্র আদৌ করোনায় মারা গিয়েছিলেন, নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্য়ু হয়েছিল, সেটা স্পষ্ট নয় ৷ তা সত্ত্বেও রামচন্দ্রের শেষকৃত্য করতে এগিয়ে আসেননি এলাকার কোনও মানুষ ৷ করোনার ভয়েই দূরে সরে থাকেন তাঁরা ৷ এতে চরম বিপাকে পড়েন প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ ৷

এই ঘটনা জানার পরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেন স্থানীয় যুবক শাহিন আলম ৷ সেই পোস্ট চোখে পড়ে মাথাভাঙার বিডিও সম্বল ঝা-র ৷ সঙ্গে সঙ্গে দেহ সৎকারের জন্য পদক্ষেপ করেন তিনি ৷ করোনা প্রতিরোধী সমস্ত বন্দোবস্ত করেই রামচন্দ্রের দেহ সৎকার করা হয় ব্লক প্রশাসনের তরফে ৷

আরও পড়ুন : করোনার টিকাকরণে রাজ্যে তৃতীয় জলপাইগুড়ি

এই প্রসঙ্গে বিডিও সম্বল ঝা বলেন, ‘‘আমি ফেসবুকে জানতে পারি, ওই গ্রামে একজন ব্যক্তির মৃত্য়ু হয়েছে ৷ অথচ করোনার ভয়ে তাঁর দেহ সৎকার করতে কেউ এগিয়ে আসেননি ৷ তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেই দেহ সৎকারের ব্য়বস্থা করা হয় ৷’’

প্রয়াত রামচন্দ্র বর্মণের ছেলে সুশান্ত বর্মণ বলেন, ‘‘প্রথমে কেউ বাবার শেষকৃত্যে এগিয়ে আসেননি ৷ পরে প্রশাসন দেহ সৎকারের উদ্যোগ নেয় ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.