কোচবিহার, 19 জুন : চাষ করে পেট চলে । ফসলের দাম কমলেই ঘরে অনটন । এসবের মাঝেই আন্তর্জাতিক লং জাম্পে অনূর্ধ্ব - 19 বিভাগে সোনা জিতলেন লিটন বর্মণ । তিনি মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাপরা এলাকার বাসিন্দা । অভাব অনটনের কাছে মনের অদম্য ইচ্ছে থাকলে কী ভাবে জেতা যায় তা দেখালেন লিটন ।
14 থেকে 16 জুন পর্যন্ত নেপালের কাঠমাণ্ডুতে আন্তজার্তিক অ্যাথলেটিকস মিট ছিল । সেখানে ভারতের জাতীয় দলের হয়ে অংশ নেন মেখলিগঞ্জ কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র লিটন । তাঁর কোচ দুলাল রায় বলেন, "ভারত ও নেপালের প্রতিযোগীরা সেখানে অংশ নিয়েছিলেন । তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম স্থান দখল করে লিটন । তার সাফল্যে আমরা গর্বিত । "
চরম আর্থিক সংকট থাকলেও সঙ্গে ছিল পড়াশোনা ও খেলাধুলো চালানোর ইচ্ছে । আর্থিক সমস্যার জন্য কখনও কৃষিকাজ আবার কখনও দিনমজুরের কাজ করেছেন তিনি । লিটনের বাবা বিজয় বর্মণ চাষ করে সংসার চালান । লিটনের সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার থেকে শুরু করে মেখলিগঞ্জ কলেজ কর্তৃপক্ষ ।
লিটন বলেন, " আর্থিক সমস্যা খেলাধুলোয় মাঝেমধ্যে বাধা পড়ে । সরকারি কোনও সহযোগিতা পেলে খেলাধুলো ভালোভাবে চালিয়ে যাওয়া যাবে । জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে আরও পুরস্কার পাওয়াই এখন আমার লক্ষ্য । "
মেখলিগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজয় পাল বলেন, "আমরা গর্বিত ,আর্থিক অভাব থাকা সত্ত্বেও সে দেশের নাম উজ্জল করেছে । লিটন অত্যন্ত গরিব পরিবারের ছেলে । প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সময় ওর কাছে টাকা পয়সা ছিল না । আমরা মাত্র 5 হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করি । "