কোচবিহার, 29 ফেব্রুয়ারি : ভুটানে আটক ছয় ভারতীয় শ্রমিক বাড়ি ফিরলেন গতকাল । প্রায় তিন মাস ধরে ভুটানে আটকে রেখে রঘুনাথ রায়, শ্রীনাথ রায়, ধনঞ্জয় রায়, রঞ্জিত রায়, কল্যাণ রায় ও কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে শ্রমিকের কাজ করিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ৷ খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধারে তৎপর হন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রামকুমার তামাং ৷
মেখলিগঞ্জের ছ’জনকে ভুটানে দৈনিক 1500 টাকার মজুরির প্রলোভন দেখিয়েছিল আইজল হক নামে এক ঠিকাদার ৷ গত বছর 1 ডিসেম্বর সেখানে কাজে যোগ দেন রঘুনাথ রায় (33), শ্রীনাথ রায় (33), ধনঞ্জয় রায় (27), রঞ্জিত রায় (31), কল্যাণ রায় (24) ও কৃষ্ণচন্দ্র রায় (27) ৷ 20 জানুয়ারি থেকে শ্রমিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন । ভুটানের এক সংস্থা তাদের সঙ্গে না কি এক বছরের চুক্তি করেছে ৷ আইজল হক জানিয়েছিল, চুক্তির ভিত্তিতেই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে পারবে না ৷ তাঁদের পরিবারের লোকেরা বিষয়টি নিয়ে মোখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক রামকুমার তামাংয়ের দ্বারস্থ হন ৷ জানা যায়, ঠিকা শ্রমিক আইজল হক আগাম টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছেন ৷ এরপর ওই ছয় শ্রমিককে আটকে রেখে বিনা পারিশ্রমিককে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ ৷ তিনিই ওই শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নেন ৷ গতকাল তাঁরা বাড়ি ফেরেন ৷
শ্রমিক রঘুনাথ রায় বলেন, ‘‘ভুটানে গিয়ে আমরা চরম বিপদে পড়েছিলাম ৷ প্রায় তিন মাস কার্যত বন্দিদশা কাটিয়েছি ৷ আমাদের বিনা পারিশ্রমিকে খাটানো হত ৷ বাড়ি ফেরার সময়ও কোনও পারিশ্রমিক পাইনি ৷ বেঁচে ফিরতে পেরেছি এই যথেষ্ট ৷’’ মহকুমা শাসক রামকুমার তামাং বলেন, ‘‘ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে প্রশাসনের তরফে কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি ৷ দেরিতে হলেও তাঁরা দেশে ফিরেছেন ৷ সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে ৷’’