দিনহাটা, 27 সেপ্টেম্বর : অসামান্য অবদানের জন্য বিজ্ঞানক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাচ্ছেন দিনহাটার ছেলে কনক সাহা ৷ ঘরের ছেলের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া দিনহাটায় ৷
দিনহাটা শহরের 12 নং ওয়ার্ডে এক সবজি বিক্রেতার ঘরে জন্ম বিজ্ঞানী কনক সাহার । প্রথমে দিনহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও পরে বিজ্ঞান বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করে ভর্তি হন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে । সেখান থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্সের পর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেন ।
এরপর বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে কিছুদিন মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার পর বিদেশযাত্রা করেন । পৃথিবীর প্রথম সারির মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন সময়ে ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন বিজ্ঞানী কনক সাহা । বর্তমানে তিনি পুনের ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পদে রয়েছেন ৷ এখানে গবেষণা করতে করতেই কনক সাহা ও তাঁর দল 930 কোটি আলোকবর্ষ দূরে এক নক্ষত্রপুঞ্জের সন্ধান পান ৷ যা নিয়েই গতবছর হইচই পড়ে যায় গোটা বিশ্বে ।
আরও পড়ুন : প্লাস্টিক থেকে পেট্রল-গ্যাস উৎপাদন শান্তিনিকেতনের বিজ্ঞানীর
ইসরো দ্বারা প্রেরিত টেলিস্কোপের মাধ্যমে ওই নতুন নক্ষত্রপুঞ্জ 'AUDFs01' আবিষ্কার করেন তাঁরা । এই কাজ-সহ আরও অন্যান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিজ্ঞানক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়েছে ।
ছেলের পুরস্কার পাওয়ার খবরে খুশি বিজ্ঞানী কনক সাহার মা তুলসী সাহা । এদিন তিনি বলেন, "খুব ভাল লাগছে । ভাবিনি ছেলে এত ভাল পুরস্কার পাবে । তবে ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ওর খুব ঝোঁক ছিল ৷ সাড়ে তিন বছর বয়স থেকেই বাবার সঙ্গে বাজারে গিয়ে নতুন নতুন বই কিনে আনত ৷"
দিনহাটা হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক মনোতোষ চক্রবর্তী বলেন, "ও স্কুলে যখন পড়ত তখনই আমরা অনুধাবন করেছিলাম ও একটা কিছু করবে । ওর এই সাফল্য দিনহাটার মত প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে ।"
আরও পড়ুন : সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে দূষণমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন অরণিবাবুর